ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বিসিবি সভাপতির চেয়ারে পাপনের জায়গায় ফারুক

আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৬ পিএম

মুলত যে কাজের জন্য বিসিবি জরুরি সভা আহবান করেছিল, তাই হয়েছে। বিসিবি সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। বুধবার সকালে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ের কনফারেন্স কক্ষে বিসিবির জরুরি সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতির পদ থেকে নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগপত্র পাঠ করে শোনানো হয়। বিসিবির কাছে অনলাইনে তিনি তার এই পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন। বিসিবিতে পাপনের শূন্য হওয়া পদে এসেছেন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। সভার শুরুতে জানানো হয় ফারুক আহমেদ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) নতুন মনোনীত কাউন্সিলর হয়েছেন। তিনি এনএসসির কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগকারী জালাল ইউনুসের স্থলাভিষক্ত হয়ে বোর্ড পরিচালক পদে এসেছেন। যেহেতু নাজমুল হাসান পাপন বিসিবির সভাপতি পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন। তাই তার শূন্য পদ পূরুণের জন্য সভাপতি নির্বাচন করা প্রয়োজন। সেই বিবেচনায় বিসিবির সভায় উপস্থিত বাকি পরিচালকরা ফারুক আহমেদকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেছেন।

ফারুক আহমেদ বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি বিসিবিতে প্রধান নির্বাচক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। নাজমুল হাসান পাপনের কমিটিতে তিনি প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৬ সালে বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে ফারুক আহমেদ প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আর ২০২৪ এ এসে বোর্ডে ফিরলেন সর্বোচ্চ চেয়ার, বিসিবির সভাপতি হয়ে!

বিসিবির বাদবাকি পরিচালকরাও এখন পদত্যাগ করবেন কিনা সেই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। তবে সুত্র জানিয়েছে, বিসিবির আগের কমিটির বেশ কয়েকজন পরিচালককে ফারুক আহমেদের নতুন কমিটির সঙ্গেও কাজ করতে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

বিসিবির বুধবারের জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন আগের কমিটির ৮ জন পরিচালক। এই পরিচালকরা হলেন মাহবুব আনাম, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইফতেখার আলম মিঠু, সালাউদ্দিন চৌধুরী, কাজী ইনাম, সাইফুল আলম স্বপন, ফাহিম সিনহা। বাকি ১৬ জন পরিচালক অনুপস্থিত ছিলেন।

নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ বুধবার দুপুরে বিসিবি কার্যালয়ে আসবেন। তার দায়িত্ব বুঝে নেবেন। সেখানেই তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন।

বিসিবিতে পরিবর্তন মুলত শুরু হয়ে গেল এই জরুরি সভার মধ্য দিয়েই। বিসিবিতে নাজমুল হাসান পাপনের দীর্ঘদিনের পথচলা এখানেই শেষ। ২০১৩ সাল থেকে বিসিবি সভাপতির পদে ছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নাজমুল হাসান পাপনের কোনো খোঁজ নেই। পরে জানা গেল তিনি দেশে নেই। বিসিবির বোর্ড সভায় তার পদত্যাগ পত্র পাঠ করে শোনানো হয়।

এর আগে (১৯ আগস্ট) পদত্যাগ করেছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। এনএসসির মনোনীত কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। আরেক কাউন্সিলর আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববিকেও পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। তবে তিনি, নিজে পদত্যাগ না করে তার ব্যাপারে এনএসসিকেই সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছেন।

২০১২ সালে সভাপতি মনোনয়ন আর ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর এই আসনে বসেন পাপন। টানা এক যুগ ছিলেন তিনি বিসিবির সভাপতি।

 

আরও পড়ুন