বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে চলমান অস্থিরতা নতুন মোড় নিয়েছে অনূর্ধ্ব–১৯ নারী দলের নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে বিসিবির সর্বশেষ ব্যাখ্যায়। গত কয়েক দিন ধরে সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলমের যৌন হয়রানির অভিযোগসহ একের পর এক ইস্যু আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একই প্রেক্ষাপটে ক্রিকেটার রিয়া আক্তারের করা অসঙ্গতির অভিযোগও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) গুরুত্বসহকারে বিসিবির কাছে জানতে চায়। অবশেষে দীর্ঘ দুই মাস পর বিসিবি জানাল, তারা নথি–পত্র পরীক্ষা করে নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়মের প্রমাণ পায়নি।
৮ সেপ্টেম্বর এনএসসিকে দেওয়া চিঠিতে রিয়া আক্তার দাবি করেন, অনূর্ধ্ব–১৯ নারী দলের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়নি। এনএসসি ১৭ সেপ্টেম্বর বিসিবিকে ব্যাখ্যা দিতে বললেও তখন সংস্থাটির বিভিন্ন বিভাগ পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনী কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকায় তদন্ত শুরু হয়নি। ৬ অক্টোবর বিসিবির নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পরই অভিযোগগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখা হয়।
বিসিবি জানিয়েছে, নির্বাচন–পূর্ব ও নির্বাচন–পরবর্তী প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বিষয়টি সময়মতো দেখা সম্ভব হয়নি। তবে নতুন বোর্ড সব নথি যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছে যে নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়মের প্রমাণ নেই। একই সঙ্গে সংস্থাটি জানিয়েছে, রিয়া আক্তারের লেখা চিঠির বিষয়গুলো জাহানারা আলমের সাক্ষাৎকারে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য যে পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়েছে, তাদের সামনেও উপস্থাপনের প্রস্তুতি চলছে।
নারী ক্রিকেট ঘিরে যে ঝড় উঠেছে, বিসিবির এই ব্যাখ্যা তা থামাতে পারে কি না, এখনই বলা কঠিন। তবু বোর্ডের দাবি অনুযায়ী, অনূর্ধ্ব–১৯ দলের নির্বাচনকে ঘিরে যেসব প্রশ্ন উঠেছিল, সেগুলোর কোনোটা নথি–পত্রে সমর্থন পায়নি বলেই তারা বিশ্বাস করছে।
সেনেগালের বিপক্ষে ব্রাজিলের দাপুটে জয়