ঢাকা
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মুশফিকের স্মরণীয় দিনটি উৎসবে ভরিয়ে দিল বিসিবি

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০৪ পিএম

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আজ লেখা হলো আরেকটি অসামান্য দিন। বহু সময় ধরে দেশের ক্রিকেটকে টেনে নিয়ে যাওয়া, বিপদের মুহূর্তে ভরসা হয়ে ওঠা মুশফিকুর রহিম অবশেষে পৌঁছে গেলেন সেই মাইলফলকে, যেটি এর আগে কোনো বাংলাদেশির নাগালে আসেনি, টেস্ট ক্রিকেটে শততম ম্যাচ।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে পা রাখার মুহূর্ত থেকেই তিনি স্পর্শ করলেন গৌরবের এক বিরল অধ্যায়, আর তার এই অর্জনে পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেটও পেল গর্ব করার মতো এক নতুন উজ্জ্বল পালক।

দিনটি শুরু থেকেই ছিল এক বিশেষ আয়োজনের আবহে। টসের পরই মাঠে শুরু হয় সম্মান প্রদর্শনের আনুষ্ঠানিক মুহূর্তগুলো। সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে প্রবেশ করেন মুশফিক, আর পুরো দল সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তাকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশ।

পরের মিনিটেই হাবিবুল বাশার সুমন তাকে পরান বিশেষ টেস্ট ক্যাপ-যে বাশারই দুই দশক আগে লর্ডসে তার মাথায় প্রথম টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে ছিলেন। অতীতের স্মৃতি আর বর্তমানের সাফল্য যেন একই মুহূর্তে মিলেমিশে যায়।

অল্প পরেই দেশের প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার আকরাম খান তার হাতে তুলে দেন বাক্সে সাজানো আরেকটি বিশেষ ক্যাপ, যা মুশফিকের অর্জনকে আরও একধাপ উঁচুতে তুলে ধরে। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমূল আবেদীনের দেওয়া স্মারক সেই উদযাপনকে পরিপূর্ণ করে তোলে।

মুশফিকের প্রথম ও শততম টেস্টের দুই অধিনায়ক হাবিবুল বাশার এবং নাজমুল হোসেন শান্ত তাকে উপহার দেন সতীর্থদের স্বাক্ষর করা স্মারক জার্সি। সকাল ৯টা ২২ মিনিটে শান্ত দলের পক্ষ থেকে ছোট বক্তব্য রাখেন, আর পরে নিজ অনুভূতি ভাগ করেন মুশফিক যেখানে ফুটে ওঠে কৃতজ্ঞতা, অতীত লড়াইয়ের স্মৃতি এবং দেশের জন্য আরও ভালো করার অঙ্গীকার।

দলীয় ছবি তোলার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা। গ্যালারিতে ছিলেন মুশফিকের বাবা–মা ও পরিবারের সদস্যরা, যারা তার দীর্ঘ ক্রিকেটযাত্রার যেকোনো সাফল্যের সবচেয়ে নীরব অথচ অনড় সঙ্গী। ছিলেন ভক্তদের একটি অংশও, যাদের উচ্ছ্বাসে মাঠের পরিবেশ হয়ে ওঠে উৎসবমুখর।

আরও পড়ুন