মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রথম দিনের আলো নিভে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থমকে গেল মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরির স্বপ্নও। ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে নেমে ইতিহাসের দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে রাখার সুযোগ ছিল তাঁর সামনে, কিন্তু দিনের খেলা শেষ হওয়ার বাঁধায় মাত্র এক রানের দূরত্বে থামতে হলো এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে। আয়ারল্যান্ডের লেগস্পিনার গ্যাভিন হোয়েকে প্যাডল সুইপ করে ২ রান নেওয়ার সুযোগ থাকলেও ঝুঁকি নেননি তিনি। শেষ বল লিটন দাস ডিফেন্স করার পর সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায় আর মাঠে ফেরার সুযোগও হলো না।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে পা রেখেই মুশফিক দুর্দান্ত ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন। তার দায়িত্বশীল ইনিংসকে ঘিরেই আজ টেস্টের দিনশেষে ৪ উইকেটে ২৯২ রানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ। ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলে ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র ১১তম ব্যাটার হবেন, যিনি তাঁর শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। অপর প্রান্তে লিটন দাসও তাঁর ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে স্থিতিশীল রেখেছেন।
দিনটি শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের সতর্ক কিন্তু আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং দিয়ে। টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয় ওপেনিং জুটিতে এনে দেন ৫২ রান। তবে ম্যাকব্রাইনের দুর্দান্ত লাইন-লেন্থ সাদমানকে থামিয়ে দেয় রিভিউর সাহায্যে। কিছুক্ষণ পরই বড় শট খেলতে গিয়ে ভুল করেন জয়, আর শান্তও তুলে দেন নিজের উইকেট। মুহূর্তেই ৯৫ রানে তিন উইকেট পড়ে যখন দলটা দোলাচলে, তখনই এগিয়ে আসেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার-মুশফিক ও মুমিনুল।
মুমিনুল ৪৯ রানে জীবন পেলেও তা কাজে লাগিয়ে দলের স্কোর এগিয়ে নেন। তাঁদের জুটি দলকে ধসের মুখ থেকে তুলে আবারও লড়াইতে ফিরিয়ে আনে। যদিও মুমিনুল শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে যান, মুশফিক ততক্ষণে নিজের ইনিংসকে নিয়ে গেছেন এক নতুন উচ্চতায়। ধৈর্য, টেকনিক আর চাপ সামাল দেওয়ার দক্ষতার এক নিখুঁত মিশ্রণ দেখা গেছে তার ব্যাটিংয়ে।
