মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে ভর করে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৭৬ রানে অলআউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ৪ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে মাঠে নেমে দ্রুতই সেঞ্চুরি তুলে নেন আগের দিনের ৯৯ রানে অপরাজিত মুশফিক। তার সাবলীল ব্যাটিং যেমন ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তেমনি সঙ্গী লিটন দাসও ফিফটির পর আরও দু’ধাপ ওপরে উঠে ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্কের ঘর।
দুজনের জুটি বাংলাদেশকে পাকা ভিত দেয়, তুলে নেয় এক ইনিংসে তিন শতরানের অংশীদারিত্বের বিরল কীর্তি; টেস্ট ইতিহাসে যা মাত্র চতুর্থবারের মতো ঘটল টাইগারদের ব্যাটিংয়ে।
মুশফিক থামেন ১০৬ রানে, দলের সংগ্রহ তখন ৩১০। এরপর লিটনের সঙ্গে ব্যাটে জুটি বেঁধে সামনে এগোতে থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লিটন একের পর এক দারুণ শটে নিজের ইনিংসকে সমৃদ্ধ করেন এবং ১৯২ বল মোকাবিলা করে ১২৮ রানের চমৎকার সেঞ্চুরি খেলেন। অন্য প্রান্তে ফিফটির খুব কাছে গিয়ে থামতে হয় মিরাজকে-১০৭ বলে ৪৭ রান করে ফেরেন তিনি। টানা দুই ওভারে মিরাজ ও লিটনকে হারিয়ে কিছুটা নড়বড়ে হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস, যা শেষ পর্যন্ত প্রভাব ফেলে শেষ সেশনে।
ইনিংসের শেষ দিকে তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন ও হাসান মুরাদরা কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তাতে বড়সড় আরেকটি জুটির সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। ইবাদত ২৪ বলে অপরাজিত ১৮ রান করেন, মুরাদের ব্যাট থেকে আসে ১১। শেষ উইকেটে খালেদ আহমেদ এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে ১৪১.১ ওভারে ৪৭৬ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
আইরিশ স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন নেন ৬ উইকেট, মিরপুরে যা তার দ্বিতীয় ছয় উইকেট শিকার। গ্যাভিন হোয়ে ও ম্যাথু হামফ্রেস পান দুটি করে উইকেট। তিন স্পিনারই খরুচে হলেও বাংলাদেশের রান থামাতে বড় ভূমিকা রাখে তাদের ধারাবাহিক আঘাত। বিশেষ করে শেষ ৫ উইকেট মাত্র ৪৩ রানে হারানো বাংলাদেশের সম্ভাব্য আরও বড় সংগ্রহকে আটকে দেয়।
