ঢাকা
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মুশফিক–লিটনের আলোয় উজ্জ্বল ঢাকা টেস্ট, বল হাতেও দাপট

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম

মুশফিকুর রহিম যেন লিখে রাখলেন নিজের শততম টেস্টের গল্পটি আগেই। প্রথম দিন অপরাজিত থাকা ৯৯ রানের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের প্রথম ওভারেই যোগ হলো সেই প্রত্যাশিত একটি রান, আর তাতেই বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের টেস্টে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডে মুমিনুল হকের পাশে এসে দাঁড়ালেন তিনি। এটি তার ১৩তম সেঞ্চুরি, আর দেশের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে তিন অঙ্কের দেখা পাওয়ার কৃতিত্বও এখন মুশফিকের। এমন এক বিশেষ দিনে তার ইনিংস থামে ১০৬ রানে।

মুশফিকের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ের নেতৃত্ব নেন লিটন দাস। ইনিংসকে আরও বড় করার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে তিনি পূরণ করেন নিজের পঞ্চম টেস্ট শতক। নান্দনিক শটে সাজানো তার ১২৮ রানের ইনিংস দলকে এনে দেয় প্রয়োজনীয় পরিপূর্ণতা। পাশে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, যিনি খেলেছেন মূল্যবান ৪৭ রানের ইনিংস। 

দিনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল বাংলাদেশের মধ্য-উইকেটে জুটির দৃঢ়তা-চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ উইকেটে টানা তিনটি শতরানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যাওয়া হয় বিশাল রানের পাহাড়ে। তবে শেষ দিকে দ্রুত পাঁচ উইকেট হারানোয় বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যায় ১৪১.১ ওভারে ৪৭৬ রানে। দিনশেষে আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৯৮ রান। টাইগারদের ১ম ইনিংস থেকে ৩৭৮ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের অপেক্ষায় তাদের।

জবাবে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা দৃঢ় করেই নেয় বাংলাদেশ। আইরিশ ওপেনাররা প্রথম উইকেটে ৪১ রান তুললেও এরপরই শুরু হয় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ার মিছিল। পল স্টারলিংকে ফিরিয়ে সেই দরজা খুলে দেন খালেদ আহমেদ। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম এবং সর্বোপরি উদীয়মান স্পিনার হাসান মুরাদের সুনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ বিকেলে ভুগতে থাকে আয়ারল্যান্ড। 

প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জেতা বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার সংকেতই দিলো দ্বিতীয় দিনের এই আধিপত্যে। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের সামনে এখন লড়াই বাঁচিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ।

আরও পড়ুন