ক্যারিয়ারে লিওনেল মেসির না পাওয়া কিছুই যেন নেই। ক্লাব ফুটবল থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মঞ্চ- চ্যাম্পিয়নস লিগ, কোপা আমেরিকা, ফাইনালিসিমা, এমনকি বহু প্রতীক্ষিত বিশ্বকাপও তার হাতে উঠেছে। অসাধারণ ফুটবলশৈলী ও অনবদ্য ধারাবাহিকতায় তিনি হয়েছেন কয়েক প্রজন্মের আইডল।
কিন্তু প্রশ্ন হলো মেসির নিজের আইডল কে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন তার অনুপ্রেরণার উৎস নিয়ে। বলেছেন, কোন কিংবদন্তিদের ছায়ায় তিনি বেড়ে উঠেছেন, কারা তাকে প্রেরণা জুগিয়েছেন জীবনের নানা সময়ে।
মেসি শুরুতেই স্মরণ করেছেন আর্জেন্টিনার প্রয়াত কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আর্জেন্টাইনদের জন্য ডিয়েগো ম্যারাডোনাই সবচেয়ে বড় আইডল। তিনি যা করেছেন, তাতে তিনিই আমাদের সর্বোচ্চ অনুপ্রেরণা। যদিও আমি ছোটবেলায় তাকে খুব বেশি সরাসরি খেলতে দেখিনি, তবুও ডিয়েগো সবকিছুর ঊর্ধ্বে।
তিনি বলেন, ‘অন্য খেলার কথা যদি বলি, তাহলে ডিয়েগোর মতো মাইকেল জর্ডানের ব্যাপারটাও একই। টেনিসে ফেদেরার, নাদাল আর জোকোভিচ তারা খেলাটিকে একেবারে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে সেরা হওয়ার লড়াই, প্রতিদ্বন্দ্বিতা সব মিলিয়ে তারা টেনিসকে অসাধারণ করে তুলেছেন।’
মেসির মতে, প্রতিটি খেলায় এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা শুধু নিজেদের জন্য নয়, পুরো খেলাটির মান ও মর্যাদা বাড়িয়ে দেন।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘হয়তো অনেকের নাম বলা হয়নি, কিন্তু তাদেরই বেছে নেব। বাস্কেটবলে লেব্রন জেমস ও স্টিফেন কারি তারা দুজনেই খেলাটিকে নিজেদের মতো করে অনেক কিছু দিয়েছেন।’
একই সাক্ষাৎকারে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ নিয়েও কথা বলেছেন আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
মেসির ভাষায়, ‘বিশ্বকাপে খেলা সব সময়ই এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমি সেখানে থাকতে চাই। আর যদি থাকি, তবে জাতীয় দলের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চাই।’
মেসির এই বক্তব্য যেন আবারও মনে করিয়ে দেয় অর্জনের চূড়ায় পৌঁছেও তিনি এখনো খেলাটির প্রতি আগ্রহ ও অনুপ্রেরণায় ভরপুর।
কলকাতা থেকে দিল্লি, ভারত মাতাবেন মেসি
ভক্তদের ভালোবাসায় বিদায় নিলেন ফুটবল জাদুকর মেসি