ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ট্রাম্পের চাপে আরও ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত অ্যাপলের

আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বাড়াতে আরও ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

এর আগে দেশটিতে চার বছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মার্কিন এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। 

এর আগে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, অ্যাপল যদি আইফোন উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে না সরায়, তাহলে তাদের পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়বে। 

সম্প্রতি অ্যাপলের প্রধান টিম কুক জানান, তারা আগের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে এবং আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চায়।

ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ঘোষণা দেন, অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে ডেটা সেন্টার ও কেন্টাকির হ্যারিসবার্গে স্মার্ট গ্লাস উৎপাদন লাইন স্থাপন করবে। এতে দেশীয় সরবরাহ ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়বে এবং চিপ ও সেমিকন্ডাক্টারে ১০০% শুল্ক এড়াতে পারবে অ্যাপল।

ট্রাম্প জানান, অন্যান্য কোম্পানিকে একই সুবিধা পেতে হলে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করতে হবে। অ্যাপল প্রধান কুক বলেন, তাদের বিনিয়োগ ইতোমধ্যেই সফল এবং নতুন তহবিলের মাধ্যমে অ্যাপল পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যুক্তরাষ্ট্রেই তৈরি হবে।

তিনি ট্রাম্পকে একটি কাঁচের ভাস্কর্যও উপহার দেন, যা ওভাল অফিসের রেজলিউট ডেস্কেই তৈরি করা হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অ্যাপলের সরবরাহব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন একদিনে সম্ভব নয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক রক্ষায় এই ঘোষণা সহায়ক হতে পারে। ঘোষণার পরদিনই অ্যাপলের শেয়ারের দাম ৫ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়।

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, অ্যাপলের এই অঙ্গীকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির সাফল্যের প্রমাণ, যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ।

বিবিসি বলছে, অ্যাপলের বেশিরভাগ পণ্য এখনো চীনে তৈরি হয়। তবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া নতুন শুল্কযুদ্ধের কারণে প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহ ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস করছে। এখন ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে পণ্য এনে শুল্ক কমানোর চেষ্টা করছে অ্যাপল।

তবে এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতির কারণে জুন পর্যন্ত তিন মাসে কোম্পানিটি ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি শুল্ক দিয়েছে। আগামীতে আরও ১.১ বিলিয়ন ডলার শুল্ক দিতে হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

NB/AHA
আরও পড়ুন