প্রযুক্তি জগতে আলোচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি এবার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের জন্য আরও উন্মুক্ত ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক কনটেন্ট তৈরির সুযোগ দিতে যাচ্ছে। ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান।
অল্টম্যান বলেন, ‘আমরা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবেই বিবেচনা করতে চাই।’ তিনি জানান, আগামী ডিসেম্বরে একটি নতুন আপডেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা চাইলে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে ‘ইরোটিকা’ ধরনের কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন, তবে এর জন্য ব্যবহারকারীর বয়স যাচাই বাধ্যতামূলক থাকবে।
এর পাশাপাশি অল্টম্যান জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই একটি নতুন ফিচার চালু হবে, যা চ্যাটজিপিটিকে আরও মানবসদৃশ প্রতিক্রিয়া দিতে সক্ষম করবে। এর ফলে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বটের কথোপকথন আরও প্রাকৃতিক ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে।
তবে এই পদক্ষেপ চ্যাটজিপিটির আগের অবস্থানের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। চলতি বছরের আগস্টে, চ্যাটজিপিটির উত্তরে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল ওপেনএআই। তখন ব্যবহারকারীদের একাংশের মধ্যে চ্যাটবটের সঙ্গে ক্ষতিকর মানসিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের আত্মহত্যা এবং তার বাবা-মায়ের দায়ের করা মামলার পর নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয় ওপেনএআই। মামলায় অভিযোগ করা হয়, চ্যাটজিপিটি ওই কিশোরকে আত্মহত্যার পদ্ধতি জানায় এবং এমনকি একটি ‘সুইসাইড নোট’-এর খসড়াও লিখে দেয়।
স্যাম অল্টম্যান বলেন, ‘আমরা তখন চ্যাটজিপিটির বেশ কিছু ফিচার সীমিত করেছিলাম, কারণ মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যুতে সতর্কতা ছিল আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। তবে এর ফলে কিছু ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা সীমিত হয়ে পড়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমাদের কাছে উন্নত প্রযুক্তি ও টুল রয়েছে, যা মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে সক্ষম। তাই আমরা এখন নিরাপদভাবে কিছু সীমাবদ্ধতা শিথিল করতে যাচ্ছি।’
বিশ্লেষকদের মতে, এই আপডেট প্রযুক্তি ও ব্যক্তিস্বাধীনতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে, তবে এর সামাজিক প্রভাব ও ব্যবহারযোগ্যতা নিয়ে এখনই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই।
১ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সচল ইউটিউব
ইউটিউবে ফিরছে নিষিদ্ধ ক্রিয়েটররা 