সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে ৫শ কোটি টাকার সহায়তা চেয়েছে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক। চলতি মাসের ৮ মে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে এই সহায়তা চান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক উল আলম।
তিনি বলেন, আনসার বাহিনীর সদস্যদের জমা রাখা আমানতই ব্যাংকের কার্যক্রমের মূল চালিকাশক্তি। কিন্তু সেই প্রবণতা কমে গেছে সদস্যদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায়। অন্যদিকে আমানত রাখা কমিয়েছে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরেই চলতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে।
সচিব বরাবর অনুরোধ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। যা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে আগামী দুই বছরের মধ্যে। তাই টিকিয়ে রাখার স্বার্থে অনতিবিলম্বে অন্তত ৫শ কোটি টাকা ছাড় করার অনুরোধ তার।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ বলেন, ব্যাংক একটা বিজনেস যেখানে প্রফিট করা খুব সহজ। কারণ হচ্ছে ৮ শতাংশে নিচ্ছে ১২ শতাংশে লোন দিচ্ছে। এখন যা হচ্ছে সেখানে সরকারের কোনো স্কোপই নাই সরকারকে ভর্তুকি দেওয়া। সেটা ব্যাংক হোক বা ননব্যাংক হোক। আমার মনে হয় না এর কোনো যুক্তি আছে।
চিঠিতে বলা হয়, গেল বছর পর্যন্ত সরকারি অংশের ডিভিডেন্ড বাবদ সাড়ে ২৭ কোটি আর করপোরেট ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়েছে সাড়ে ৭৩ কোটি টাকা। আর ঋণ বিতরণ করা হয়েছে সাড়ে ১৫ লাখ গ্রাহকের মাঝে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। আর গত বছরে মুনাফার পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা।
পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, তারা কি ব্যাংক লোন শেষে করে দিবে? যা আর কোনো ফেরত আসেবে না। এটা টাকাগুলো কি হিসেবে দিবে? লোন হিসেবে দিবে নাকি মূলধন হিসেবে দিবে নাকি সদকায়ে জারিয়া?
