বাজারে বেড়েছে অধিকাংশ সবজি ও চালের দাম। শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, কোরবানির ঈদের পর প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে চালের দাম বাড়তি রয়েছে। এই সময়ে বেশির ভাগ মিনিকেট চালের দাম কেজিতে পাঁচ–ছয় টাকা বেড়েছে। এর প্রভাবে মোটা এবং মাঝারি চালের দামও কেজিতে দুই টাকার মতো বেড়েছে। এ ছাড়া এক সপ্তাহের ব্যবধানে কয়েক ধরনের সবজির দামে কিছুটা বাড়তি প্রবণতা রয়েছে।
বিক্রেতারা জানান, চলতি মাসের শুরুর দিকে উৎপাদনস্থলে হঠাৎ ধানের দাম বেড়ে যায়। এর প্রভাবে তখন পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মিনিকেট চালের দাম বেড়ে যায়। এর আগে, গত মে মাসের শুরুতে বাজারে বোরো ধানের চাল আসার পর মিনিকেটের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা কমেছিল।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকার খুচরা দোকানগুলোতে ডায়মন্ড, মঞ্জুর, সাগর, রসিদ প্রভৃতি ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৮০ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদের আগে এসব চালের দাম ছিল ৭৫-৭৬ টাকা কেজি। অর্থাৎ কেজিতে দাম বেড়েছে ৫-৬ টাকা। অন্যদিকে মোজাম্মেল মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকা কেজি, যা ঈদের আগে ৮০ টাকার আশপাশে ছিল। কারণ, চালের দাম বেশি বাড়লে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়তে দেখা যায়।
এছাড়া মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা চালের দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। এটি ৫৫-৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ জাতের মাঝারি মানের চালের দামও কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সাধারণত মোটা চাল ৫০ টাকার আশপাশে ও মাঝারি চাল ৫৫-৫৮ টাকার মধ্যে থাকে।
বাজারে মুরগির দাম অনেকটা আগের সপ্তাহের মতো রয়েছে। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি ৩০০ টাকার আশপাশে, আর ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ডিমের দামও কম রয়েছে, ডজন ১২০ টাকা। পাড়া-মহল্লায় অবশ্য এর চেয়ে খানিক বেশি দাম নেন খুচরা দোকানিরা।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনন্দিন বাজারদরের তথ্যেও দেখা যায়, চালের দাম বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে সরু চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম কেজিতে ১ টাকা বেড়েছে।
নগদের নতুন চেয়ারম্যান ও এমডি নিয়োগ
জেট ফুয়েলের বাজার কাদের নিয়ন্ত্রণে