বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) ২০২৫ আয়োজন করেছে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে (বিসিএফসিসি) ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৩ দিনব্যাপী চলবে এই মেলা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চার পরিচালককে পদোন্নতিসোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টোয়াব বিটিটিএফ-২০২৫ এর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন টোয়াব সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান এবং মেলার সার্বিক প্রস্তুতি উপস্থাপন করেন টোয়াব পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. তাসলিম আমিন শোভন।
টোয়াব সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান বলেন, বিটিটিএফ বাংলাদেশের পর্যটন খাতে সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় মেলা। এই মেলা শুধু পর্যটন নয়, দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ব্যবসায়ী, পর্যটক এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা, উৎসাহ ও টেকসই পর্যটন উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা বলেন, বিটিটিএফ দেশের পর্যটন শিল্পে বড় অবদান রাখে। আমরা এই আয়োজনকে সফল করতে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরকেএবারের মেলা হবে বিটিটিএফ-এর ১৩তম সংস্করণ। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবারের মেলা হবে আগের সব আসরের চেয়ে অনেক বেশি বড়, আকর্ষণীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে। চারটি হলে মোট ২২০টি স্টল, ২৫০-এর বেশি প্রদর্শক, ২০টিরও বেশি দেশের অংশগ্রহণ, ২,০০০+ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি এবং ৫০,০০০+ দর্শনার্থী উপস্থিত থাকার আশা করা হচ্ছে।
প্রথমবারের মতো বিটিটিএফ-এ সরাসরি অংশ নিচ্ছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। এছাড়া, আইএসজি (ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল গ্রুপ) গোল্ড স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে। হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে থাকছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, ক্রাউন প্লাজা গুলশান এবং হলিডে ইন ঢাকা।
পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় পর্যটন সংস্থা ও ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন এবারের মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। এছাড়া মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের পর্যটন প্রতিষ্ঠান ও ট্রাভেল এজেন্টরাও অংশ নেবে।
বিটিটিএফ ২০২৫-এ প্রথমবারের মতো থাকছে বিশেষ মেডিকেল ট্যুরিজম জোন। এতে দেশি-বিদেশি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও মেডিকেল ট্রাভেল এজেন্সিগুলো তাদের সেবা তুলে ধরবে।
মেলাটি আয়োজন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও এফবিসিসিআই।
অনুষ্ঠানে টোয়াব বিভিন্ন অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে টেকসই পর্যটন, ডিজিটাল প্রমোশন, মেডিকেল ট্যুরিজম ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ক একাধিক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করে।
