খবর সংযোগ ডেস্ক: প্রাকৃতিক নৈস্বর্গের লীলাভূমি ভুটান। আপেল, আঙ্গুর, কমলার দেশ ভুটান। দেশটির আয়তন ১৪৮২৪ বর্গমাইল। জনসংখ্যা আট লাখের মতো। ভূবেষ্টিত এই দেশটি বিশ্বের কাছে এক রোল মডেল। ভুটান সত্যি বিশ্বের বিস্ময়। পর্যটকদের চোখ ভুটানের উপর।
ভুটান বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ। তাই বছরের প্রায় সব সময় পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে ভুটানে। এদেশে নেই কোনো দূষণ। কার্বন নেগেটিভ দেশগুলোর মধ্যে ভুটান অন্যতম। দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভুটানকে বেছে নেন বেশিরভাগ পর্যটকরা।
যেহেতু ভুটান যেতে বাংলাদেশিদের ভিসা লাগে না, তাই প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটক ভুটান ঘুরতে যান। সবচেয়ে ভালো খবর হলো, ট্রানজিট ভিসা থাকলে কম খরচেই ভুটান থেকে ঘুরে আসা যায়।
ভুটান এখনও বিশ্বের সবচেয়ে অনুন্নত দেশগুলোর একটি। ভুটানের ঐতিহ্যবাহী নাম হলো ‘দ্রুক ইউল’ যার অর্থ হলো স্বর্গের ড্রাগন। ভুটানের জাতীয় প্রতীক হলো ড্রাগন।
ভুটানে কোনো গৃহহীন মানুষ নেই বললেই চলে। অর্থাৎ কেউই রাস্তা বা ফুটপাতে বাস করেন না। যদি কেউ প্রাকৃতিক দুর্যোগে গৃহহীন হয়ে পড়েন, তাহলে রাজা তাকে ঘর ও চাষাবাদের জন্য একখণ্ড জমিও দান করেন।
ভুটানই পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানকার সড়কে কোনো ট্রাফিক লাইটের ব্যবহার নেই। তবে ট্রাফিক পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ চৌরাস্তাগুলোর মাঝখানে নির্মিত ট্রাফিক বক্সে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এছাড়া সেখানে গাড়ির হর্ণও খুব কমই শুনতে পাওয়া যায়।
ভুটান সম্পর্কিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো, ভুটানে নারীদেরই ঘর কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে দেখা যায়। তারা নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। এর পেছনে তাদের যুক্তি হলো, তাদের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নারীর ক্ষমতায়ন অপরিহার্য।
ভুটান খুবই পরিচ্ছন্ন একটি দেশ। সেখানে কিন্তু ধূমপান করলেই জেল-জরিমানা হতে পারে।
ভুটানের অধিকাংশ বাড়িগুলোই ৩ তলাবিশিষ্ট হয়। এসব বাড়ির নিচতলায় বাস করে গৃহপালিত প্রাণী, দ্বিতীয় তলায় মানুষ ও তৃতীয় তলায় রাখা হয় শস্যদানা ও খড়কুটো।
অর্থাৎ ভুটানে মানুষ ও প্রাণী একই বাড়িতে বাস করে। জীবজন্তুর প্রতি তাদের অগাধ ভালবাসা। তাইতো ভুটানে নেই কোনো কসাইখানা। কারণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জীব হত্যা মহাপাপ।
