দুর্গাপূজার চার দিনের ছুটিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটেছে সমুদ্র সৈকত, ঝর্ণা-পাহাড়-টিলা-হাওরে। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ হোটেল-মোটেলের ৮০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। তবে, সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে পার্বত্য অঞ্চলের তিন জেলায় এখনো পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
জানা গেছে, পূজার ছুটিতে কক্সবাজারে উৎসবে মেতে উঠেছে পর্যটকরা। সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি পরিবার পরিজন নিয়ে দর্শনীয় জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পর্যটকের আগমনে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়াকাটা সৈকতেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। সমুদ্রের গর্জন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।
কক্সবাজারে ঘুরতে আসা এক পর্যটক বলেন, পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসে আনন্দ উপভোগ করছি। চারপাশের আবহাওয়াটাও সুন্দর।
কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী জানান, সাগরের বাতাস, এখানকার স্ট্রিট ফুড সবকিছুই ভালো লাগার মতো। সকাল ও বিকালে এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
এদিকে পর্যটকদের আগমনে পূর্বের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশা ব্যবসায়ীদের। পর্যটন কেন্দ্রের বেশিরভাগ হোটেল-মোটেলই এখন পরিপূর্ণ।
হোটেল ব্যবসায়ীরা জানায়, পর্যটকদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার দিকেও নজর রয়েছে।
এছাড়া পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে সিলেটের জাফলং, বিছনাকান্দি, রাতারগুলেও। বেশিরভাগ হোটেল-মোটেলের ৮০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। পাহাড়-টিলা-হাওর-ঝর্ণা, চা বাগানের সৌন্দর্য উপভোগে মৌলভীবাজারে আসছেন ভ্রমণপিপাসুরা। পর্যটকদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি থাকবে র্যাব ও সেনাবাহিনীর বিশেষ টহল।
