প্রকৃতির রহস্যঘেরা বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন । সারি সারি সুন্দরী, পশুর, কেওড়া, গেওয়া, গোলপাতা গাছ এবং অপরূপ চিত্রল হরিণের দল, বন মোরগের ডাক, বানরের চেঁচামেচি, মৌমাছির গুঞ্জন ও বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গর্জন ইত্যাদি বৈচিত্র্যময়তার কারণে বিদেশি পর্যটকদের কাছে সুন্দরবনের রয়েছে আলাদা কদর।
পর্যটকদের জন্য সুন্দরবনের দুয়ার খুলেছে গত ১ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যেই বসন্তের আগমন। তাই সুন্দরবন এলাকায় বেড়েছে পর্যটক। স্থানীয়রা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়া থাকায় সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে। বন বিভাগ বলছে, চলতি বছর দেশ ও বিদেশের ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় জমাচ্ছেন সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্টে।

সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের হিসাব অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫ হাজার ৮৭৬ জন পর্যটক এই অঞ্চলে ভ্রমণ করেছেন। সুন্দরবন দেখতে আসা পর্যটকরা মূলত দুটি স্থানে ভ্রমণ করেন। একটি আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার, অপরটি কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক।

যশোর থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, সুন্দরবনের সৌন্দর্য দেখতেই এসেছি। এখানে এসে এত কাছ থেকে প্রকৃতিকে উপভোগ করার অনুভূতি অসাধারণ। তবে সাতক্ষীরা থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। সরকারের উচিত দ্রুত এই সড়কটির সংস্কার করা।

আকাশনীলা ইকো ট্যুরিজমের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১৫০ জন দর্শনার্থী এই ইকো ট্যুরিজমের প্রবেশ করছেন। যেটা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম। তবে শুক্র-শনিবার দর্শনার্থী একটু বেশি।
