প্রতি বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শবে বরাত, রমজান, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, মহররম সহ বিশেষ দিনগুলো নির্ধারণ করা হয়। স্বাভাবিকভাবে সৌদি আরবের সাথে চাঁদ দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও। কিন্তু এবার সৌদি আরবের সাথে একই দিনে ঈদুল আজহা পালন করছে না মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই। সৌদি আরব ১৬ জুন ঈদুল আজহা পালন করলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার, কুয়েত, জর্ডান, সিরিয়া, ওমান ও ইরাক ১৬ জুন পবিত্র ঈদ পালন করছে না।
গত বৃহস্পতিবার সৌদি আরব ঘোষণা দিয়েছে, তাদের দেশে পবিত্র ঈদুল আজহার চাঁদ দেখা গেছে। ১৬ জুন (রোববার) পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করা হবে। ১৪ জুন (শুক্রবার) পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। আর ১৫ জুন (শনিবার) আরাফা।
সৌদি আরবের এই ঘোষণার পর দেখা দিয়েছে বিস্ময়। দেশটির সাথে সীমান্ত আছে দুইটি রাষ্ট্রের। আরব আমিরাত ও ওমানের। সৌদি আরব ১৬ জুন ঈদের তারিখ ঘোষণা করলেও ওমানে বৃহস্পতিবার জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ১৭ জুন ঈদুল আজহা পালন করবে। এছাড়া কুয়েত, জর্ডান, সিরিয়া, ওমান ও ইরাকও ১৭ জুন ঈদুল আজহা পালন করবে।
সৌদি আরবের জ্যোতির্বিদ বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চাঁদ পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। কিন্তু চাঁদ দেখার ঘোষণায় দেশটি বলেছে, হারিক শহরে একজন প্রত্যক্ষদর্শী পবিত্র ঈদের চাঁদ দেখেছেন। এদিকে আরব আমিরাত চাঁদ দেখার ঘোষণা দিতেও বেশ দেরি করেছে। তাছাড়া শুক্রবার (৭ জুন) গ্রিনিচ সময় অনুযায়ী সকাল ৬টায় দেশটির আবুধাবির জ্যোতির্বিদ্যা পর্যবেক্ষণাগার থেকে চাঁদের ছবি তুলে প্রকাশ করেছে। চাঁদটি সূর্য থেকে প্রায় ১১ ডিগ্রি দূরে ছিল। এভাবে চাঁদের ছবি প্রকাশ করেছে এবারই প্রথম।
এদিকে বাংলাদেশের ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান শুক্রবার (৭ জুন) জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশে পবিত্র ঈদুল আজহার চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, জাপান, হংকং, ব্রুনাইসহ অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোতে ১৭ জুন ঈদ উদযাপন হবে।
জিলহজ আত্মত্যাগের মাস। মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহিম (আ.) এ মাসেই নিজের প্রিয় সন্তান ইসমাইলকে (আ.)-কোরবানির মাধ্যমে প্রভুর আনুগত্যের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। যদিও আল্লাহর বিশেষ রহমতে ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে একটি পশু কোরবানি হয়েছে।
