ইরাকে গুহায় তল্লাশিকালে তুরস্কের ১২ সেনা সদস্যের মৃত্যু

আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম

ইরাকের উত্তরাঞ্চলে একটি গুহায় তল্লাশি ও অভিযানের সময় মিথেন গ্যাসের বিষক্রিয়ায় তুরস্কের অন্তত ১২ সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২২ সালের মে মাসে কুর্দি যোদ্ধাদের গুলিতে নিহত এক সেনার মরদেহ উদ্ধারে ইরাকের উত্তরাঞ্চলে একটি গুহায় তল্লাশি চালাচ্ছিল তুর্কি বাহিনী। সেই সময় তারা বিষাক্ত মিথেন গ্যাসে আক্রান্ত হন। নিহত ১২ সেনার মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয় সর্বশেষ গ্যাস সংক্রমণের পর। তবে নিখোঁজ সেনার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

রোববার প্রকাশিত এক পূর্ববর্তী বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, তল্লাশিকালে ১৯ জন সৈন্য মিথেন গ্যাসে আক্রান্ত হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গুহাটি একসময় হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

তবে ঠিক কীভাবে ওই গুহায় মিথেন গ্যাসের সৃষ্টি হলো- সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এই দুর্ঘটনা ঘটেছে এমন সময়, যখন কুর্দি বিদ্রোহী সংগঠন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) তাদের দীর্ঘমেয়াদি সশস্ত্র লড়াই বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছে। পিকেকে- যাদের তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে- ১৯৮৪ সাল থেকে কুর্দিদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে লড়াই চালিয়ে আসছে।

কালের পরিক্রমায় সংগঠনটি স্বাধীনতার পরিবর্তে বর্তমানে সাংস্কৃতিক, ভাষাগত অধিকার এবং বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানাচ্ছে। এই সংঘাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

তুরস্কের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ কুর্দিদের নিয়ে গঠিত। তাদের সঙ্গে চলমান বিবাদের মাঝেই ইরাকে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে আঙ্কারা।

সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা কুর্দিদের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়াকে কতটা প্রভাবিত করবে, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানায়নি তুর্কি কর্তৃপক্ষ।

TH/FJ