রাষ্ট্রীয় অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহকে কলম্বোর ম্যাগাজিন কারাগার থেকে ন্যাশনাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার কারণে আদালতের নির্দেশে রিমান্ডে নেওয়ার পর তাকে কারাগারের হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছিল। ন্যাশনাল হাসপাতালে তার প্রাথমিক স্বাস্থ্য অবস্থা যাচাইয়ের পর বিশেষায়িত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা ধরা পড়ে বলে চিকিৎসকরা জানান। কারাগারের হাসপাতালে এ ধরনের চিকিৎসা সম্ভব না থাকায় আইসিউতে পাঠানো হয়।
কলম্বো ন্যাশনাল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. রুকশন বেল্লানা জানান, চিকিৎসকেরা তার শারীরিক অবস্থার কারণে জরুরি চিকিৎসা ইউনিট থেকে আইসিইউতে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।
শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে কারাগারেঅভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি রাষ্ট্রীয় অর্থ প্রায় ১৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন শ্রীলঙ্কান রুপি (প্রায় ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার) ব্যক্তিগত ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করেন। ২০২৩ সালে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় তিনি যুক্তরাজ্য সফরে তা ব্যয় করেন।
এদিকে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসজনিত সমস্যার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজন দেখা দিলে তাকে প্রথমে কারাগারের হাসপাতালেই রাখা হয়। পরে কারাগারের চিকিৎসা বোর্ডের পরামর্শে শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকালে তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে (কলম্বোর প্রধান সরকারি হাসপাতাল) স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে, শনিবার সকালের দিকে ৭৬ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহেকে কারাগারে দেখতে যাওয়া দেশটির বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা বলেন, কারাগারে সাক্ষাতের সময় সাবেক প্রেসিডেন্টের মনোবল দৃঢ় ছিল। দেশটির বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করে বলেছে, আবারও ক্ষমতায় ফিরতে পারেন আশঙ্কায় সরকার রনিল বিক্রমাসিংহেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরের শ্রীলঙ্কার জাতীয় নির্বাচনে দেশটির বামপন্থি রাজনীতিক অনুরা কুমারা দিসানায়েকের কাছে হেরে যান বিক্রমাসিংহে। এই পরাজয়ের পর নির্বাচিত কোনও পদে না থাকলেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। সূত্র: দ্য মিরর
