নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কার্কির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়। সুশীলা কার্কিকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল।
এদিকে, নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শফিকুর রহমান। নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আরও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নেপালের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাম সহায় যাদব, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল।
রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাওডেলের দপ্তর থেকে জানানো হয়, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার পর কার্কির নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরাই তাকে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তাব করেন।
সপ্তাহজুড়ে চলা বিক্ষোভে অন্তত ৫১ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনকে ‘জেন জি আন্দোলন’ বলা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে সামাজিকমাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও সহিংসতা থামে গত মঙ্গলবার ওলির পদত্যাগের পর।
৭২ বছর বয়সী সুশীলা কার্কি এর আগে ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত নেপালের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন। সততা, দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান ও দৃঢ়তার কারণে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত। বিশেষ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্কির কঠোর অবস্থানের জন্য তিনি জনপ্রিয়।
বিচারপতি থাকাকালে ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে জেলে পাঠানো থেকে শুরু করে সরাসরি সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতেও পিছপা হননি কার্কি।
নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির শপথ
নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি, শপথ নেবেন রাতে