ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সুদানে আশ্রয়কেন্দ্রে ড্রোন হামলা, নিহত ৩০

আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২১ পিএম

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এল-ফাশারের বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (RSF) চালানো ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (১১ অক্টোবর) এই হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

এল-ফাশার প্রতিরোধ কমিটির বরাতে জানানো হয়, শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থিত দার আল-আরকাম আশ্রয়কেন্দ্র ছিল হামলার লক্ষ্য। সেখানে বহু নারী, শিশু ও বৃদ্ধ আশ্রয় নিয়েছিলেন।

এক বিবৃতিতে প্রতিরোধ কমিটি জানিয়েছে, ‘হামলায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। অনেকে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়স্থলে চাপা পড়ে মারা গেছেন। RSF-এর এই নৃশংস হামলাকে আমরা গণহত্যা হিসেবে দেখছি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

গত বছরের এপ্রিল থেকে সুদানে সেনাবাহিনী ও RSF-এর মধ্যে চলমান গৃহযুদ্ধের ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১০,০০০-এর বেশি মানুষ নিহত এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

বর্তমানে এল-ফাশার শহরটি যুদ্ধের কৌশলগত কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এটি দারফুর অঞ্চলের RSF নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা শেষ প্রাদেশিক রাজধানী। এল-ফাশারে প্রায় ৪ লাখ বেসামরিক নাগরিক অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন এবং তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় সব খাদ্যসামগ্রী শেষ হয়ে গেছে। পশুখাদ্যের ওপর নির্ভর করেও টিকে থাকা পরিবারগুলো এখন আর সেই সুযোগও পাচ্ছে না। এক বস্তা পশুখাদ্যের দাম পৌঁছেছে কয়েকশ মার্কিন ডলারে। 

মানবাধিকারকর্মীরা আশঙ্কা করছেন, এল-ফাশার এখন ক্ষুধার্ত মানুষদের জন্য একটি উন্মুক্ত কবরস্থানে পরিণত হয়েছে।

সুদানের প্রতিরোধ কমিটিগুলো ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছে, RSF-এর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং জাতিগত নিধনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচারিক পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়।

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদানে সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনী RSF-এর মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়, যা ধীরে ধীরে দেশজুড়ে ভয়াবহ সংঘাতে রূপ নেয়। এই গৃহযুদ্ধে লক্ষাধিক মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে, আর সুদানের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।

DR/FJ
আরও পড়ুন