ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

এপস্টেইনের নতুন ইমেইল প্রকাশ, ট্রাম্পকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য 

আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৪ এএম

যৌন নিপীড়ন ও নারী পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত জেফরি এপস্টেইন এক সহযোগী এবং একজন লেখকের কাছে পাঠানো ইমেইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম একাধিকারবার উল্লেখ করেছেন। বুধবার (১২ নভেম্বর) প্রকাশিত নতুন কিছু ইমেইলে এমনটি দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের ‘ওভারসাইট কমিটির’ ডেমোক্র্যাট সদস্যরা এসব ইমেইল প্রকাশ করেছেন। তবে এক বিবৃতিতে ইমেইলগুলোকে ‘ভুয়া বয়ান তৈরির মাধ্যমে ট্রাম্পকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।

এপস্টেইন নিজের সহযোগী গিসলেইন ম্যাক্সওয়েল ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ লেখক মাইকেল ওলফকে ১৫ বছর ধরে এসব ইমেইল লিখেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত যৌন অপরাধী এপস্টেইন ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে কারাবন্দী অবস্থায় আত্মহত্যা করেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এপস্টেইনের সাবেক প্রেমিকা ম্যাক্সওয়েল অপ্রাপ্তবয়স্কদের যৌনকাজে সম্পৃক্ত করার অভিযোগে বর্তমানে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এপস্টেইন মারা যাওয়ার পর তিনি দণ্ডিত হন।

নতুন প্রকাশিত ইমেইলগুলোতে এমন একটি বার্তা রয়েছে, যেখানে এপস্টেইন দাবি করেছেন, ট্রাম্প একজন নারীর সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়েছেন। ওভারসাইট কমিটির ডেমোক্র্যাটরা এই নারীকে এপস্টেইনের যৌন পাচারের শিকার হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

ইমেইলগুলোতে আরেকটি বার্তা আছে, যেখানে এপস্টেইন বলেছেন, ট্রাম্প ‘ওই নারীদের সম্পর্কে জানতেন’। এখানে যেসব নারীর কথা বলা হয়েছে, তারা সম্ভবত ট্রাম্পের মালিকানাধীন মার-এ-লাগো অবকাশযাপনকেন্দ্রে কাজ করতেন। তাঁদের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি এপস্টেইনকে মার-আ-লাগো থেকে বের করে দিয়েছিলেন। কারণ, এপস্টেইন সেখানে কর্মরত কমবয়সী নারীদের কদর্যভাবে প্রলোভন দেখাচ্ছিলেন।

এপস্টেইনের ওই ইমেইলগুলোর কোনোটি ট্রাম্পের কাছে পাঠানো হয়নি বা এর কোনোটি ট্রাম্প অন্য কারও কাছে পাঠাননি। এসব ইমেইলের বেশির ভাগই ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগের। তা ছাড়া এপস্টেইন বা ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ট্রাম্পকে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত করা হয়নি।

বুধবার ওভারসাইট কমিটি এক বিবৃতিতে জানায়, এপস্টেইন এস্টেটের হস্তান্তর করা মোট ২৩ হাজার নথি প্রকাশ করা হয়েছে। এসব নথি বর্তমানে তারা পর্যালোচনা করে দেখছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০-এর দশক থেকে ২০০০-এর দশকের শুরুর কয়েক বছর পর্যন্ত এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের যোগাযোগ ছিল। ২০০৪ সালের দিকে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ট্রাম্প সম্প্রতি বারবার বলেছেন, এপস্টেইনের অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি কিছু জানতেন না।

নতুন ইমেইলগুলো সম্পর্কে জানতে সিএনএন হোয়াইট হাউস এবং মাইকেল ওলফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

HN
আরও পড়ুন