ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

গাজায় পুষ্টিহীনতায় ভুগছে ৫৫ হাজার শিশু, ঝুঁকিতে ১২ হাজার

আপডেট : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১২ পিএম

ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনের কারণে গাজা উপত্যকায় ছয় বছরের কম বয়সী প্রায় ৫৫ হাজার শিশু মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। এদের মধ্যে ১২ হাজারেরও বেশি শিশু চরম ঝুঁকিতে, যাদের অনেকেই আজীবনের জন্য শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত হতে পারে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি পরিচালনায় সহায়তা করেছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সহায়তা সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।

গবেষণায় দেখা যায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত গাজায় ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার শিশুর পুষ্টি-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের ৫ শতাংশের পুষ্টিহীনতা ধরা পড়ে। কিন্তু ছয় মাস পর এ হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯ শতাংশে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে, ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর, অপুষ্টির হার দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায়। গবেষণাটি সরাসরি ইসরায়েলের ত্রাণ নিষেধাজ্ঞাকে শিশুদের অপুষ্টির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে।

ইউএনআরডব্লিউএ’র স্বাস্থ্য পরিচালক ও গবেষক ড. আকিহিরো সেইতা বলেন, এই মুহূর্তে যুদ্ধ থামিয়ে নিরবচ্ছিন্ন আন্তর্জাতিক ত্রাণ, চিকিৎসা ও পুষ্টি সহায়তা পৌঁছানো না গেলে আরও হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ১ হাজার ৪০০’র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮৫৯ জন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’র কেন্দ্রের কাছাকাছি নিহত হন। অধিকাংশের মৃত্যু ইসরায়েলি সামরিক হামলায়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০ হাজারের বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে এবং ৪২ হাজারের বেশি শিশু আহত হয়েছে। আহত শিশুদের মধ্যে অন্তত ২১ হাজার আজীবনের জন্য পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

DR/MMS
আরও পড়ুন