ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বিমানবন্দরে বিমান হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।
ওই ঘটনায় প্রাণে বাঁচবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কার মধ্যে ছিলেন। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) তেদরোস ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এসব কথা বলেন।
হামলার বর্ণনা দিয়ে তেদরস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসরায়েল বিমান হামলা চালায় ইয়েমেনের বিমানবন্দরে। এ সময় ওই বিমানবন্দরেই ছিলেন তেদরোস। বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই জোরাল ছিল যে একদিন পরও সে শব্দ কানে বাজছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, দ্রুতই এটা স্পষ্ট হয়ে উঠল যে বিমানবন্দরটি হামলার শিকার হয়েছে। প্রায় চারটি বিস্ফোরণ হওয়ার পর লোকজন হন্তদন্ত হয়ে ছুটোছুটি শুরু করে।
ঘটনার সময় বিমানবন্দরে যাত্রীদের অপেক্ষা করার নির্ধারিত জায়গার কাছে অপেক্ষায় ছিলেন বলে জানান তেদরোস। চারটি বিস্ফোরণের একটি তার খুব কাছেই হয়েছে।
রয়টার্সকে ডব্লিউএইচওর প্রধান বলেন, আমি আসলে প্রাণে বাঁচতে পারব কি না, বুঝতে পারছিলাম না। কারণ, ঘটনাটি অনেক কাছে ঘটেছে। আমরা যেখানে ছিলাম, তার মাত্র কয়েক মিটার দূরে এটা ঘটেছে। সামান্য এদিক-সেদিক হলেই সরাসরি আঘাত লাগতে পারত।
ঘটনার পর সহকর্মীদের নিয়ে এক ঘণ্টার মতো বিমানবন্দরে আটকে ছিলেন, ওই সময় মাথার ওপর দিয়ে ড্রোন উড়ছিল। এতে তারা ভয় পাচ্ছিলেন, আবারও হামলা শুরু হতে পারে। তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তিনি ও তার সহকর্মীরা ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরা দেখেছেন। রানওয়েসহ কয়েকটি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হুতিনিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সাবার খবরে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দরে হামলায় তিনজন ও হোদেইদাহ এলাকায় হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আরও ৪০ জন আহত হন।
অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ডব্লিউএইচও প্রধান