ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

চীনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প

আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৪ পিএম

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে চীনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান উল্লেখ না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বেইজিংয়ে আয়োজিত সুন্দর এবং চিত্তাকর্ষক এ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, আমি অনুষ্ঠানটি দেখেছি। এটি দারুণ ছিল। প্রেসিডেন্ট শি আমার বন্ধু, তবে তার ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের নাম থাকা উচিত ছিল, কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চীনকে অনেক সহায়তা করেছিলাম আমরা।

অনুষ্ঠানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, যেসব বিদেশি সরকার ও আন্তর্জাতিক বন্ধু চীনা জনগণকে সমর্থন ও সহায়তা দিয়েছেন, আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেননি, যা নিয়েই মূলত ট্রাম্পের অসন্তোষ।

১৯৩৭ সালে জাপান চীনে আক্রমণ চালালে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে পরিণত হয়। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে যোগ দেয় এবং চীনা বাহিনীকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করে। ১৯৪৫ সালে জাপানের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটে।

রয়টার্স বলছে, এই বর্ষপূর্তি উদযাপনকে শি জিনপিং তার সরকারের একটি কূটনৈতিক শক্তি প্রদর্শনীতে রূপান্তর করেছেন। বেইজিংয়ের তিয়ানআনমেন স্কোয়ারে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

ভাষণ চলাকালীন শি’র পাশে ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল চীনের আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ও সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ যা বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলোর প্রতি একরকম বার্তা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে শি-কে উদ্দেশ করে লেখেন, আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিও ভ্লাদিমির পুতিন ও কিম জং উনকে, যখন তোমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছো। 

তবে চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাস এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে রাশিয়ার ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা কোনো ষড়যন্ত্র করছে না এবং ট্রাম্পের মন্তব্যকে বিদ্রূপাত্মক বলে অভিহিত করেছে।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক নানা ইস্যুতে উত্তেজনাপূর্ণ যেমন ইউক্রেন যুদ্ধ, দক্ষিণ চীন সাগর, প্রযুক্তি এবং বাণিজ্যনীতি।  তবু ট্রাম্প প্রায়ই বলেন, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো, যা ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে সহায়ক হতে পারে।

DR/MMS
আরও পড়ুন