ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

গাজার ভবিষ্যৎ শাসন ক্ষমতা নিয়ে অনিশ্চয়তা: ভ্যান্স

আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৯ এএম

গাজা উপত্যকার ক্ষমতা ভবিষ্যতে কার হাতে থাকবে, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বলে স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। তবে তিনি জোর দিয়েছেন, ওয়াশিংটনের প্রাথমিক মনোযোগ আপাতত গাজার পুনর্গঠন এবং অঞ্চলটির অসামরিকীকরণের দিকে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ইসরায়েল সফর করে। প্রতিনিধি দলে ভ্যান্স ছাড়াও ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার।

ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভ্যান্স বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যা প্রত্যাশা করেছিল, বাস্তবে পরিস্থিতি তার চেয়েও ‘ভালো’ এবং তিনি প্রত্যাশা করছেন এই যুদ্ধবিরতির মধ্যে দিয়েই গত দুই বছরের যুদ্ধের ভয়াবহ স্মৃতি পিছনে ফেলে আসা শুরু করবেন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের বাসিন্দারা।

এ সময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, ভবিষ্যতে গাজার শাসন ক্ষমতা কার হাতে থাকবে।

জবাবে ভ্যান্স বলেন, ‘এ প্রশ্নের উত্তর আমি জানি না। তবে এখন আমাদের প্রয়োজন গাজাকে পুনর্গঠন করা এবং এটা নিশ্চিত করা যে ফিলিস্তিনিরা এখানে বসবাস করবে এবং গাজা ভবিষ্যতে আর কখনও ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে না।’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পর ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে আসে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। এই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে পরের দিন ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। সেই অভিযানে নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজারের অধিক।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে পেশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামাস ও ইসরায়েল উভয়ে সেই পরিকল্পনায় সম্মতি জানানোর পর ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজায়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় ২০টি পয়েন্ট রয়েছে। তার মধ্যে একটি পয়েন্টে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর তিনি এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সমন্বয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি হবে। সেই কমিটির অধীনে গাজায় একটি অরাজনৈতিক টেনোক্র্যাট সরকার গঠন করা হবে। সেই সরকারই আপাতত গাজার যাবতীয় বিষয় দেখভাল করবে।

এদিকে, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত সেই টেকনোক্র্যাট সরকারে যোগ দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে হামাস এবং ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অঞ্চলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক গোষ্ঠী ফাতাহ উভয়েই। হামাস এবং ফাতাহ রাজনৈতিক মতাদর্শের দিকে থেকে পরস্পরের থেকে বিপরীত এবং উভয়েই একে অন্যের প্রতি ব্যাপক বৈরীভাবপাপন্ন।

NB/AHA
আরও পড়ুন