কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান ও ভারতের কূটনৈতিক মহলে তীব্র হচ্ছে উত্তেজনা। আগামী বুধবার (৭ মে) রাজ্যে রাজ্যে মহড়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৭১ সালের পর কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রথমবার এ ধরনের মহড়ার নির্দেশ দিলো।
জানা গেছে, একযোগে দেশটির ২৪৪ জেলায় এই মহড়া চালানো হবে। এতে দেখা হবে, শত্রু দেশের বিমান হামলার সময় সতর্কতামূলক সাইরেন ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না, কিংবা রাতে হামলার আশঙ্কা রুখতে ব্ল্যাক আউট ব্যবস্থা কার্যকর অবস্থায় রয়েছে কি না।
মহড়ার আরও এক উদ্দেশ্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেসামরিক নাগরিকদের প্রশিক্ষিত করে তোলা।
তবে ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত আছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত। একইসঙ্গে পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর থেকেই উপমহাদেশে নতুন করে শুরু হয়েছে যুদ্ধের আতঙ্ক। এই ঘটনার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়েছে ভারত। অন্যদিকে ইসলামাবাদ বলছে, তারা নয় বরং এই হামলার ব্যর্থতাকে আড়াল করতেই মিথ্যা অভিযোগ তুলছে দিল্লি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ভিত্তিহীন অভিযোগের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তাজনিত উত্তেজনা আরও বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি।
এদিকে পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
তিনি জানান, অতিমাত্রায় উত্তেজনার জেরে যুদ্ধের আশঙ্কা ঘনিয়ে আসায় এ দু’টি দেশ বর্তমানে খাদের কিনারায় রয়েছে।
ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ সংযমের’ আহ্বান জাতিসংঘের
ভারতের অংশীদার প্রয়োজন, উপদেশদাতা নয় : জয়শঙ্কর