২৯ ঘণ্টায় অনুদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ, জানালেন জারা

আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম

সাহায্য চাওয়ার মাত্র ২৯ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনি ব্যয় মেটানোর প্রায় ৪৭ লাখ টাকা অনুদান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনোনীত ঢাকা-৯ আসনের এমপি প্রার্থী ডা. তাসনিম জারা।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।

তাসনিম জারা বলেন, আমাদের ফান্ডরেইজিং লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪৭ লাখ টাকা আপনারা মাত্র ২৯ ঘণ্টায় পূরণ করে ফেলেছেন। আপনাদের এই অভূতপূর্ব সাড়া পুরোনো রাজনৈতিক ধারার মূলে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আর কোনো অনুদান গ্রহণ করছি না।

তিনি বলেন, এখন শুরু হচ্ছে আসল লড়াই। অধিকাংশ প্রার্থী এই নির্বাচনে ১০ থেকে ৫০ কোটি টাকা খরচ করবেন। অনেকে বলেন, টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায়। কিন্তু তারা একটি বিষয় ভুলে গেছেন, আমাদের সঙ্গে আছেন আপনারা, যারা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিজের পকেটের পয়সাও খরচ করতে রাজি। তিনি আরও বলেন, এখন আমরা কীভাবে আগাব? হিসাব খুব পরিষ্কার। ঢাকা-৯ আসনে প্রায় ৫ লাখ ভোটার। একজন প্রার্থী হিসেবে আমি যদি দিনে ১২ ঘণ্টা হেঁটে হেঁটে প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে ৫ মিনিট করেও কথা বলি, তবে দিনে সর্বোচ্চ ১০০-১১০টি পরিবারের কাছে পৌঁছাতে পারব। পুরো নির্বাচনি প্রচারের সময়ে আমি বড়জোর ৪০০০ পরিবারের কাছে যেতে পারব। কয়েক লাখ পরিবারের কাছে আমাদের মেসেজ পৌঁছাবে না। আমরা টাকার রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করতে এসেছি, তাই আমরা পেইড কর্মী নিয়োগ দেব না। নতুন রাজনীতি গড়ার এই লড়াইয়ে জিততে হলে, মানুষের কাছে আমাদের কথা পৌঁছাতে হলে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা অপরিহার্য। তাসনিম জারা বলেন, আপনাদের অনেকেই হয়তো ঢাকা-৯-এর ভোটার নন, কিন্তু আপনাদের আত্মীয়, বন্ধু, সহকর্মী বা পরিচিত কেউ না কেউ এই এলাকায় থাকেন। একজন পরিচিত মানুষের একটি কথা অনেক সময় পোস্টার, ব্যানার, বা টাকা খরচ করা প্রচারণার চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর হয়। আমি এই ক্যাম্পেইনে নিয়ম মেনে পোস্টার লাগাইনি। অন্য প্রার্থীরা লাগিয়েছেন। এই অসমতা কাটাতেও আপনার একটা ফোন কল সাহায্য করতে পারে। এর আগে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে নির্বাচনে খরচের জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে ভিডিওবার্তা দেন এনসিপি নেত্রী তাসনিম জারা।

জারা উল্লেখ করেন, আমার আসনে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ৭০ হাজার। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী এই নির্বাচনে আমি মোট ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৮০ টাকা ব্যয় করতে পারব। আমি এই টাকাটা আপনাদের কাছ থেকে চাই।

AHA
আরও পড়ুন