শৈত্যপ্রবাহ বাড়ছে দেশজুড়ে। কনকনে হিমেল হাওয়ার সাথে রয়েছে কুয়াশার দাপট। গত দুই দিনের মতো শুক্রবারও (৩ জানুয়ারি) কুয়াশার দাপট। কুয়াশায় ঢাকা রাজধানী। রোদের দেখা নেই। রোদ না থাকায় বেড়েছে শীতের অনুভূতি।
এরই মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের পাঁচ জেলা ও রংপুর বিভাগজুড়ে বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জেলাগুলো হলো- রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও লালমনিরহাট।
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীতে শুক্রবার তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তরের আরেক জনপদ কুড়িগ্রামের রাজারহাটের তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় আজকের তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৮, নওগাঁর বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৫।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনি এবং রোববার পূর্বাভাসেও একই ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে, যার মধ্যে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে, শীতের অনুভূতি বাড়বে কারণ রাত এবং দিনের তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকবে।
আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, চলতি মাসে ৩ থেকে ৫টি শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা রয়েছে। শীতের অনুভূতি বাড়াতে তাপমাত্রার পার্থক্য কম থাকার কারণে আরও শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তরপূর্ব অঞ্চলে দুটি মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এছাড়া, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, চলতি মাসে দেশের অধিকাংশ এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তাপমাত্রা যদি আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তবে সেটাকে ধরা হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা এরচেয়ে কমে ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। চার ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটা হয় অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
প্রায় ৩৪ কোটি টাকার কম্বল কিনছে সরকার
কলকাতায় নামল ঢাকার দু’টি ফ্লাইট