পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী শব্দসংবলিত গ্রাফিতির ছবি পুনঃস্থাপন, ঢাকায় ‘আদিবাসী’ শিক্ষার্থী ও ছাত্র-জনতার ওপর হামলার বিচারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এর আগে উক্ত স্থান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের প্যারিস রোডসহ বিভিন্ন একাডেমিক ভবনসংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশ হয়।
সমাবেশে অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা বলেন, ‘আদিবাসী’দের সঙ্গে উপজাতি, সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসহ যেসব কথা উঠে আসে, প্রতিটি শব্দই রাজনৈতিক। এই রাজনৈতিক শব্দগুলোর সঙ্গে অর্থনীতি যুক্ত থাকে। ফলে ‘আদিবাসী’ হিসেবে কাকে স্বীকৃতি দেয়া হবে, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী হিসেবে কাকে চিহ্নিত করা হচ্ছে, সেটি কিন্তু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।
তিনি বলেন, এই ভূখণ্ডে বুদ্ধের শাসন থেকে শুরু হয়ে হিন্দু শাসন, সেনের শাসন পরে মুসলিমের শাসনের ধারাবাহিকতা আছে। এটাকে অস্বীকার করে যদি আপনি বাঙালি চিন্তা করেন, তাহলে আপনি বাঙালি নন। ‘আদিবাসী’ চিন্তা করতে গেলে তাদের অধিকারের কথা আসে। এই অধিকারের কথাটা আমরা অস্বীকার করতে চাই।’
‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। সেটাকে নস্যাৎ করার জন্য কিছু মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে’ বলে মন্তব্য করেন ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. গোলাম সারওয়ার।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এ কে এম মাসুদ রাজা, সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার, সহযোগী অধ্যাপক মো. গোলাম সারওয়ার, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর শাকিল হোসেন, ছাত্র ফ্রন্টের ফুয়াদ রাতুল, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) রাকিব হোসেনসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী ও পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা।
‘আদিবাসী’দের ওপর হামলা উগ্রজাতীয়তাবাদ: বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ
আদিবাসী ইস্যুতে জয়ার প্রশ্ন, ‘আমাদের ঈমান ঠিক আছে তো?’