গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিনে এখন পর্যন্ত তিন মুসল্লির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন- আমিরুল ইসলাম (৪০), আবদুল কুদ্দুস গাজী (৬০) ও সাবেদ আলী (৭০)।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ইজতেমার শুরায়ে নিজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আমিরুল ইসলাম (৪০), আবদুল কুদ্দুস গাজী (৬০) ও সাবেদ আলী (৭০) নামের তিনি মুসল্লির মৃত্যু হয়। এর মধ্যে আব্দুল কুদ্দুস ইজতেমা ময়দানে এবং বাকি দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
তিনি আরও জানান, মৃত্যু আব্দুল কুদ্দুস গাজী (৬০) খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার ডুমুরিয়া বাজার এলাকার লোকমান হোসেন গাজীর ছেলে। শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার রানী শিমুল গ্রামের মৃত সবদুল্লার ছেলে সাবেদ আলী এবং ঠাকুরগাঁও জেলার মৃত আব্দুলের ছেলে আমিরুল ইসলাম।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) গোয়েন্দা বিভাগের তথ্যে জানা গেছে, ৪৬টি দেশের বিদেশি মুসল্লি এবারের প্রথম পর্বের ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন।
ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম এবং ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। মনিটরিং করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে। ইজতেমা আয়োজক কমিটির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে।
এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব দুই ভাগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপ এবং ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৪১টি জেলা এবং ঢাকার একাংশ অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া, দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ২২টি জেলা এবং ঢাকার বাকি অংশ অংশগ্রহণ করবে।
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লির মৃত্যু