ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ফারুকের নালিশ আইসিসিতে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে শঙ্কার মেঘ

আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম

বিসিবি সভাপতির পদ হারানোর পর সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। তিনি নালিশ করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে। তিনি দাবি করছেন- তাকে জোরপূর্বক ও অন্যায়ভাবে বোর্ড সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে। এই ‘অবৈধ হস্তক্ষেপ’ বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থার নজরে আনা হয়েছে।

ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি আইসিসির সভাপতি জয় শাহ-সহ অন্তত পাঁচ থেকে সাতজন পরিচালককে জানিয়েছেন। তার ভাষায়, ‘আমি সহজে ছেড়ে দেব না। লড়াই করব। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখব। আমার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। আমি আইসিসিতে জানিয়েছি। দু’এক দিনের মাঝে বিসিবিতে চিঠি আসবে।’

বিসিবিতে চলমান অস্থিরতা এবং নেতৃত্ব পরিবর্তনের নাটকীয়তায় সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফারুক আহমেদের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে বিসিবির ১০ পরিচালকের মধ্যে ৮ জন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) চিঠি পাঠান। এর পরই এনএসসি তার পরিচালকের মনোনয়ন বাতিল করে। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সভাপতির পদও চলে যায় ফারুক আহমেদের হাত থেকে।

আইসিসির সংবিধান অনুযায়ী, কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ প্রমাণিত হলে সেই বোর্ডকে স্থগিত বা নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে তারা। অতীতেও এমন নজির রয়েছে। তবে যদি বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি স্বেচ্ছায় পদ ছাড়েন, তাহলে আইসিসির হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকে না। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ফারুক আহমেদের পদচ্যুতি কি স্বেচ্ছায়, না কি জোরপূর্বক?

এরই মধ্যে বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিতব্য পরিচালনা পর্ষদের সভায় আমিনুল ইসলাম বুলবুল নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী নই। সরকার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে, আমি গ্রহণ করেছি। লক্ষ্য স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন।’

অন্যদিকে ফারুক আহমেদ তার অপসারণকে সম্পূর্ণ অন্যায় বলে মনে করছেন এবং আইসিসির মাধ্যমে এর প্রতিকার চান। তার অভিযোগের ভিত্তিতে যদি আইসিসি তদন্ত শুরু করে এবং সরকারি হস্তক্ষেপের প্রমাণ পায়, তাহলে বিসিবির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

আরও পড়ুন