ভারতের সীমান্তবর্তী উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ও টানাবৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি হু-হু করে বাড়ছে। এতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানি জমেছে প্রায় দুই-থেকে তিন ফুট পর্যন্ত।
ইতিমধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে কাপ্তাই হ্রদের সর্বোচ্চ বিপদসীমার অতি নিকটে পানির স্তর চলে আসায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ রাত সাড়ে ১০টা থেকে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি থেকে তুলে দেড়ফুট পর্যন্ত খুলে দিয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ২৯ হাজার কিউসেক পানি অবমুক্ত করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নিয়মিতহারে জল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদের পানির অতিবৃদ্ধিতে পরিস্থিতির আলোকে বর্তমানে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে সর্বমোট ৬১ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিস্কাসিত হচ্ছে।
মাহমুদ হাসান আরো জানান রাত ১১টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর মাপা হয়েছে ১০৮.৫৫ এমএসএল। হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০৯ এমএসএল।
এদিকে, কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধিতে উপজেলাগুলোর পাশাপাশি রাঙামাটি শহরের হ্রদ তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকার ঘরবাড়িগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দূর্ভোগে পড়েছে বলে জানিয়েছে।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাস খালে, নিহত ৭