ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

সিরিজ জিতে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ, ব্যাটিং নিয়ে থাকলো অপূর্ণতা!

আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম

সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ মূলত ছিল এশিয়া কাপের জন্য প্রস্তুতির জায়গা। সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ, খেলোয়াড়রাও নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন, তবে বড় রান করা বা বড় লক্ষ্য তাড়া করার অভিজ্ঞতা হলো না। আবুধাবির উইকেটে যেখানে গড় স্কোর ১৭০–১৮০, সেখানে সিলেটে বাংলাদেশকে তাড়া করতে হয়েছে মাত্র ১৩৭ ও ১০৪ রানের লক্ষ্য। শেষ ম্যাচ আবার বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। ফলে এশিয়া কাপে ব্যাটিংয়ের গভীরতা আর পাওয়ার হিটিং-দুটি জায়গাতেই প্রশ্ন থেকে গেল।

এই সিরিজে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাস। প্রথম ম্যাচে ফিফটি, শেষ ম্যাচে ৪৬ বলে ৭৩ রান-মোট ১৪৫ রান করে হয়েছেন সিরিজসেরা। অপরাজিত থেকে তাঁর গড় দাঁড়িয়েছে অবিশ্বাস্য ১৪৫। এর মধ্যেই সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক ফিফটির (১৪) রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতায় লিটন এখন দলের সবচেয়ে বড় ভরসা।

তাসকিন আহমেদ প্রথম দুই ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছেন। সঙ্গে মুস্তাফিজও ছিলেন সাফল্যের ধারায়, ইকোনমি ছয়ের নিচে। তরুণ তানজিম সাকিবও সীমিত সুযোগে আস্থা জাগিয়েছেন। ফলে এশিয়া কাপে পেস আক্রমণকে ঘিরে আশাবাদী বাংলাদেশ।

সিলেটের উইকেটে স্পিনারদের জন্য সুবিধা কম থাকলেও নাসুম আহমেদ দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। লম্বা সময় পর ফেরার সিরিজে সাইফ হাসান ব্যাটে–বলে অবদান রেখেছেন-১৯ বলে ৩৬ রান ও ২ উইকেট। যদিও ওপেনিংয়ে প্রমোশন পেয়ে শেষ ম্যাচে মাত্র ১২ রান করেন, তবে তাঁর ইতিবাচক মানসিকতা দলকে বাড়তি ভরসা দিয়েছে।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে দীর্ঘদিনের দুর্বল জায়গা হলো পাওয়ার হিটিং। শেষ ম্যাচে নুরুল হাসান সোহান (১১ বলে ২২) আর জাকের আলী অনিক (১৩ বলে ২০) কিছুটা ঝলক দেখালেও বৃষ্টিতে খেলা গড়াল না। প্রথম দুই ম্যাচে সহজ লক্ষ্য তাড়া করায় এই দিকটা যাচাইয়ের সুযোগও মেলেনি। এশিয়া কাপে এটি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আরও পড়ুন