তিন মাসের বিরতির পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরে এসেই কাঠমান্ডুতে প্রতিপক্ষ নেপালের সঙ্গে ০-০ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। প্রস্তুতি পর্ব হিসেবে আয়োজিত ফিফা প্রীতি ম্যাচটি জমজমাট না হলেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের জন্যই, কারণ সামনে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের চ্যালেঞ্জ।
দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামের ভারী মাঠে খেলাটি ছিল ধীর গতির, তবে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে দুই দলই কিছুটা প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করেছে। যদিও গোলের পরিষ্কার সুযোগ কমই তৈরি হয়েছে।
ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগটি আসে প্রথমার্ধে। ডান দিক থেকে রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো ইন বুঝে উঠতে পারেননি নেপালের গোলরক্ষক কিরণ। বল ফসকে যাওয়ার পর বাংলাদেশের এক ফরোয়ার্ড পেয়ে গেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি। ফাঁকা পোস্টেও লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশ হতে হয় দলকে।
নতুন মুখে গড়া বাংলাদেশ দল থেকে অনুপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ফুটবলার। হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমরা দলে ছিলেন না, অনূর্ধ্ব–২৩ দলের সফরের কারণে অনুপস্থিত ছিলেন শেখ মোরছালিন ও ফাহামিদুল ইসলাম। এ ছাড়া চোটের কারণে নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা খেলতে না পারায় অভিষেক হয় সুজন হোসেনের।
নেপালও ছিল ঘরোয়া লিগের বাইরে থাকা খেলোয়াড় নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ান কোচ ম্যাট রসের অধীনে দলটি বিল্ড আপ ফুটবল খেলার চেষ্টা করেছে, তবে গোলের মুখ খুলতে পারেনি। বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষক সুজন ছিলেন আত্মবিশ্বাসী।
এই ড্রয়ের ফলে নেপালের বিপক্ষে জয়বিহীন ধারা অব্যাহত থাকল বাংলাদেশের। সর্বশেষ জয় এসেছিল পাঁচ বছর আগে। এরপর থেকে চারটি ম্যাচই ড্র হয়েছে, এর মধ্যে দুটি আবার কাঠমান্ডুতে।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের খেলায় কিছুটা শৃঙ্খলা ও ছন্দ দেখা গেলেও গোলের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। দুই দলই ৯ সেপ্টেম্বর আবার মুখোমুখি হবে।
