পিরোজপুরের নাজিরপুরে একটি গ্রামীণ সড়কে কালভার্ট ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কালভার্টটির মাঝখানে ভেঙে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা ও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। কালভার্টটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উপজেলার দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের গাওখালী বাজারের পশ্চিম পাড় হতে শাহাবুদ্দিন মেম্বারের বাড়ির অভিমুখের একটি গ্রামীণ ইটের সলিংয়ের সড়ক রয়েছে। সড়কটির উত্তর অংশের হালদার বাড়ী সংলগ্ন প্রায় ১৫ বছর আগে নির্মিত কালভার্টটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার হয়নি। কিছুদিন ধরে কালভার্টটির মাঝখানে ভাঙন দেখা গেছে।
গত ২ মাস পূর্বে কালভার্টটির মাঝখানে বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে যায়। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। তাছাড়া সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে গাওখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, ১১৯নং পশ্চিম গাওখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ডুমরিয়া নেছারিয়া বালক আলিম মাদ্রাসা, ডুমরিয়া নেছারিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসার শতশত ছাত্রছাত্রীরা।

এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য এই স্থানে কালভার্ট আকারের ছোট ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কালভার্টটি আর সংস্কার করা হয়নি। আগে সামান্য ভাঙা থাকলেও কিছুদিন ধরে কালভার্টটির মাঝ বরাবর এক তৃতীয়াংশ ভেঙে গেছে। এতে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিলডুৃমরিয়া গ্রামের হোসাইন, মো.ইস্রাফিল বেপারীসহ কয়েকজন জানান, বেশ কিছুদিন আগে কালভার্টের একটি সাইড ভেঙে পড়ে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত ভাড়ায় চালিত প্রায় ৫০/৬০টির মত মোটরসাইকেল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ৪ গ্রামের মানুষসহ স্কুল মাদরাসার কয়েক শত কোমলমতি শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। সড়কটির পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে ৬০টি পরিবারের একটি আবাসন প্রকল্প এলাকাবাসী অতি দ্রুত কার্লভাট সংস্কারের দাবি জানান।
এদিকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। কারণ দীর্ঘ ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট পাড়ি দিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে।
ওই সড়কে চলাচলকারী শিক্ষার্থীরা জানান, ভাঙ্গা কালভার্টের কারণে স্কুলে যেতে কষ্ট হয়। আমরা চাই দ্রুত সংস্কার করা হোক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করেছি। জনসাধারণের চলাচলে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যাপার দেউলবাড়ি দোবড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল জানান, ব্রিজটি নতুন করে স্থাপনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, আশা করি অচিরেই এলাকাবাসী সুসংবাদ পেয়ে যাবে।
আফতাবনগর-বনশ্রী সংযোগ সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন আজ