বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন থেকে আলোচিত প্রার্থী সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল সরে গেলেন।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল দশটা নাগাদ মিরপুরে হোম অব ক্রিকেটে এসে তামিম ইকবাল নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার দুপুর বারোটা পর্যন্ত বিসিবি নির্বাচনে পরিচালক পদের জন্য প্রার্থীতা বাতিলের শেষ সময়। মঙ্গলবার রাতে ক্লাব কোটায় পরিচালক পদে ভাগাভাগির সমঝোতা ভেস্তে যাওয়ায় নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটল। শুধু তামিম ইকবাল নন, এই নির্বাচন থেকে আরো অনেকেই এখন নিজেদের সরিয়ে নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্তত তামিম যাদের নিয়ে এই নির্বাচনে প্যানেল করতে চেয়েছিলেন তাদের একটা অংশও তামিমের সঙ্গে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে বুধবার পরিচালক পদে ভাগাভাগির সমঝোতার বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় বিসিবির সাবেক সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ বিতর্কিত ১৫ ক্লাবের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করেন। ফারুকের সেই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত এই ১৫ ক্লাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দেন। এই নিদের্শনা বহাল থাকলে এই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলার এবং নির্বাচনে প্রার্থীতা বড় ধরনের জটিলতায় পড়বে।
আদালতের নিষেধাজ্ঞায় বিতর্কিত এই ১৫ ক্লাবের নির্বাচনে অংশগ্রহনের সুযোগ নেই। ভোটের হিসেবে এই ১৫ ক্লাব বাতিল হয়ে গেলে বিসিবির নির্বাচনে তামিম ইকবাল ও তার প্যানেল একটা বড় শক্তি হারাবে। সবকিছুকে বিবেচনায় নিয়ে তামিম ইকবাল বুধবার রাতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবেন।

আগামী ০৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন হবে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জেলা ও বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলর ৭১ জন।

ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন একজন। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে ২৫ পরিচালকের ভোটে হবে সভাপতি নির্বাচন।
