সবুজ রঙের ফুলকপির মতো দেখতে ব্রোকলি শুধু সুস্বাদু নয়, বরং এটি স্বাস্থ্যসম্মত এক ‘সুপারফুড’। ক্রুসিফেরাস পরিবারের সদস্য এই সবজি কেল, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রাসেলস স্প্রাউটের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। জৈব সক্রিয় যৌগ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খাদ্যতালিকাগত ফাইবারে ভরপুর ব্রোকলি নানা রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত ব্রোকলি খেলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং দীর্ঘমেয়াদি নানা জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
প্রদাহ কমায়
ব্রোকলিতে রয়েছে কেম্পফেরল ও সালফোরাফেনের মতো শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী যৌগ, যা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এই প্রদাহই অনেক সময় হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের সূচনা ঘটায়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্রোকলি খেলে শরীরে প্রদাহজনক উপাদান কমে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে
ব্রোকলির মতো ক্রুসিফেরাস সবজিতে থাকা জৈব যৌগ কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্রোকলি খেলে স্তন, প্রোস্টেট, কোলোরেক্টাল, গ্যাস্ট্রিক, কিডনি ও মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়। সালফোরাফেন নামের এক যৌগ ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে বলে জানা গেছে।
হৃদরোগ দূরে রাখে
ব্রোকলি ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে এবং উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়িয়ে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে ও রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
ব্রোকলির ফাইবার ও জৈব যৌগ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং খাবারের পর রক্তে গ্লুকোজ বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হজম ভালো রাখে
ব্রোকলিতে থাকা ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করে। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে, অন্ত্রের গতিবিধি স্বাভাবিক রাখে এবং পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্রোকলি খেলে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য বজায় থাকে, যা সামগ্রিক হজমস্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, সালাদ, স্যুপ বা হালকা রান্না করা অবস্থায় নিয়মিত ব্রোকলি খেলে শরীর পাবে প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধের শক্তি ও দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতা।
এক রক্ত পরীক্ষায় শনাক্ত হবে ৫০ ধরনের ক্যান্সার



খালি পেটে তীব্র মাথাব্যথা, শরীর দিচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত!