এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে অংশ নিতে কুয়েতে অবস্থান করছে বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। আজ তাদের শেষ ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগে ঘটে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনা। স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে কিংসের টিম বাসের চাকা আকস্মিকভাবে বিস্ফোরিত হয়।
ঘটনায় সৌভাগ্যক্রমে ফুটবলার ও কোচিং স্টাফদের কেউ আহত হননি, তবে এতে দলটি স্টেডিয়ামে পৌঁছাতে দেরি করে। সাধারণত আন্তর্জাতিক ম্যাচে দলগুলো খেলা শুরুর অন্তত দেড় ঘণ্টা আগে স্টেডিয়ামে পৌঁছায়। কিন্তু আজ কিংস পৌঁছায় মাত্র এক ঘণ্টা আগে, রাত নয়টায়, যেখানে ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত দশটায়।
বিলম্বের কারণে কিংসের পক্ষ থেকে খেলা ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় ম্যাচ কমিশনারকে। কিন্তু দায়িত্বে থাকা কিরগিজস্তানের ম্যাচ কমিশনার নির্ধারিত সময়েই খেলা শুরুর সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। ফলে বাধ্য হয়ে কিংসকে হালকা ওয়ার্ম আপের পরই মাঠে নামতে হয়।
কুয়েত থেকে বসুন্ধরা কিংসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সময় পেছানোর অনুরোধ না মানায় কমিশনারের সঙ্গে কথাকাটাকাটিও হয়। তবে কমিশনার শেষ পর্যন্ত খেলা নির্ধারিত সময়েই শুরু করার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
আজকের ম্যাচে কিংসের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক কুয়েত এসসি। দুই ম্যাচ শেষে কুয়েত ক্লাবের পয়েন্ট চার। আজকের ম্যাচে কিংসকে হারাতে পারলে তারা সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে উঠবে।
খেলার আগে এমন ঘটনায় অনেকেই স্বাগতিক দলের যোগসাজশের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে প্রতিপক্ষ দলকে মানসিকভাবে চাপে ফেলার জন্য স্বাগতিকদের এমন আচরণ নতুন নয়, বিশেষ করে যখন জয় তাদের পরবর্তী পর্বে যাওয়ার পথ খুলে দেয়।
বসুন্ধরা কিংসের জন্য এই ঘটনা নিঃসন্দেহে বড় এক মানসিক ধাক্কা। মাঠে মনোযোগ ধরে রাখা ও প্রতিপক্ষের সম্ভাব্য সুবিধা ঠেকাতে এখন নির্ভর করছে দলের অভ্যন্তরীণ দৃঢ়তা ও পেশাদারিত্বের ওপর।
