এক হাজার টাকার জন্য বন্ধুর হাতে খুন হলো বন্ধু। পাবনার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামেএ ঘটনা ঘটে। গত ১৩ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহত আজাদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ ছয়ঘরিয়া গ্রামের মোশাররফ চেয়ারম্যানের খামারের পাশে লিচু বাগানে পাওয়া যায়। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাটকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আজাদ মন্ডল পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম মন্ডলের ছেলে। পেশায় সে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। আটক সম্রাট একই ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া মির্জাপুর এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে।

জানা গেছে, গত ১১ মার্চ রাত ৮টার দিকে আজাদ বাড়ি থেকে তার ব্যবহৃত ডিসকভার মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়ানোর কথা বলে বের হয়ে আর ফিরেনি। এর দুইদিন পর ১৩ মার্চ ঘটনাস্থল থেকে আজাদের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও সম্রাটকে আটকের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু, নিহত আজাদের মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল ও রক্তমাখা জ্যাকেট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এরপর রোববার (১৭ মার্চ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজাদের বাবা আব্দুল হাকিম মন্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্রাটকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট জানান, আজাদ তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সাথে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। প্রায় একমাস আগে সে আজাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে গেলে মোটরসাইকেলটি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুই হাজার টাকা খরচ করে আজাদ মোটরসাইকেল মেরামত করে। এক হাজার টাকা পরিশোধ করার পর আরও এক হাজার টাকার জন্য আজাদ তাকে চাপ দিতে থাকে। সেই টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তারপর থেকে সে আজাদকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকে। পরে ১৩ মার্চ রাতে আজাদকে কৌশলে এলাকার একটি লিচু বাগানে নিয়ে গিয়ে কথা-বার্তার একপর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করে শনিবার বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন সম্রাট। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
