পদ্মা সেতু দিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। সড়ক ও রেল উভয় পথে পদ্মা সেতু দিয়ে বাড়ি ফিরছে কর্মজীবী মানুষ। যানবাহনের লাইন মাওয়া টোল প্লাজা থেকে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্রীনগর ছাড়িয়ে গেছে। সেতুর টোল প্লাজার মোটরসাইকেল বুথ ছাড়াও ৭টি বুথে টোল নিয়েও কুলিয়ে উঠতে পারছে না।
দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা কেন্দ্র করে ঈদমুখো মানুষের ঢল নেমেছে। ভোর থেকেই সারি সারি যানবাহনের লাইন দীর্ঘ হয়। চাপ বেড়ে যানবাহনের লাইন লৌহজং উপজেলার মাওয়া টোল প্লাজা থেকে ৩ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ শ্রীনগর উপজেলার কামারখোলা ছাড়িয়ে যায়।

সমষপুরের বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা পিকাপভ্যানকে পেছন থেকে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাইভেটকার, বাস ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ ৫ যান ক্ষতিগ্রস্ত, আহত হয় অন্তত ১ জন।
সেতুর টোল প্লাজার মোটরসাইকেল বুথ ছাড়াও ৭টি বুথে টোল নিয়েও হিমশিম খেতে হয়। সকালে বেশি চাপের কারণে মোটরসাইকেলের বুথ বাড়িয়ে দুটি করা হয়। তবে বেলা বাড়ার পর অন্য যান সামাল দিতে বাইকের বুথ আবার একটিতেই নামিয়ে আনা হয়৷
বাড়তি চাপে কিছু ঝক্কি ঝামেলা থাকলেও অন্য যে কোন বছরের চেয়ে এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ি ফিরছে। তাই খুশি তারা।
তবে চলন্ত গাড়িতে টোল আদায়ে ১১ মাস আগে পরীক্ষামূলক শুরু হওয়া ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম-ইটিসি এখনো পুরোপুরি চালু করা যায়নি। তাই এর সুফল মিলছে না।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারি প্রকৌশলী (টোল) রাজন চন্দ্র বিশ্বাস বলেছেন, ঈদে ঘর মুখো মানুষকে নির্বিঘ্ন যাতায়াতের সব চেষ্টা চলছে। তবে ঈদের আগের ছুটির একযোগে বেশি যানবাহনে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। গত বছরের ২০ এপ্রিল থেকে পদ্মা সেতুতে দ্বিতীয় দফায় বাইক চলাচল শুরু হয়। এর আগে ২০২২ সালের ২৬ জুন পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হলে বাইক দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হলে কর্তৃপক্ষ বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করে।
