ঢাকা
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, এমপি প্রার্থীসহ আহত অর্ধশতাধিক

আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৮ এএম

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাবনা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলসহ উভয় দলের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের জগির মোড় ও চর আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুদিন আগে দলীয় বিষয় নিয়ে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মক্কেল মৃধার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় স্থানীয় জামায়াত নেতা ইকবাল হোসেনের। ওই ঘটনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার বিকালে পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলের নেতৃত্বে দলটির শতাধিক নেতাকর্মী সাহাপুর ইউনিয়নের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় যান।

এ সময় জগির মোড় নামক স্থানে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মক্কেল মৃধা ও তার ছেলে মনিরুল ইসলামকে দেখে অতর্কিত হামলা করে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরাও পাল্টা হামলা চালায়।

এর কিছুক্ষণ পর পার্শ্ববর্তী চর আলহাজ্ব মোড় নামক স্থানে আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দুই দলের সমর্থকরা। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবর্ষণ, আবু তালেব মণ্ডলের গাড়ি ভাঙচুরসহ প্রায় ১০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ও পাবনা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী আবু তালেব মণ্ডল, ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম, সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মক্কেল মৃধা, সাহাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আব্দুল আলিম বাঁধন, যুবদল নেতা মিলন, রকিবুলসহ দুই দলের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। আহতরা পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল বলেন, আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির আওতায় আজকে সেখানে গিয়েছিলাম কিন্তু হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার গাড়িসহ নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে সাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হামিদুর রহমান হামদু মেম্বার জানান, আজকে জামায়াতের পূর্ব নির্ধারিত কোনো গণসংযোগ ছিল না। গণসংযোগে কেউ কখনো গাড়িভর্তি করে অস্ত্র নিয়ে আসে না। মূলত গত দুদিন আগের ঘটনার সূত্র ধরেই আজকে মক্কেল মৃধা ও তার ছেলের ওপর হামলা করে তালেব মণ্ডল ও তার সমর্থকরা। তালেব মণ্ডল নিজে গাড়ি থেকে অস্ত্র বের করে তার কর্মীদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার জানান,  বিএনপি ও জামায়াতের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এ মুহূর্তে আর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।

HN
আরও পড়ুন