ঢাকা
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বিএনপি নেতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, সমালোচনার ঝড়

এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে। তোলপাড় শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে এর সমালোচনা।

আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৩ এএম

রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা বিএনপির গণসমাবেশে আবুল বাসার ফুল মিয়া নামের বিএনপির এক নেতার ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়া নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম আদর্শ মহিলা কলেজ মাঠে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপি, পৌরসভা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন এ গণসমাবেশের আয়োজন করে।

জেলা বিএনপির সদস্য খোন্দকার মো. আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল উদ্দিন রাশেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম। গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

হাতিয়া পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল বাসার ফুল মিয়া তার নির্ধারিত বক্তব্য শেষ করার পূর্বে তিনি ‘জয় বাংলা’ বলে বক্তব্য শেষ করেন। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে। তোলপাড় শুরু হয়েছে বিভিন্ন মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে এর সমালোচনা।

আবুল বাসার ফুল মিয়া বলেন, কেন আমি জয় বাংলা বলব। আমি তারেক জিয়া জিন্দাবাদ বলেছিলাম। আমি ‘জয় বাংলা’ বলে কোনো স্লোগান দেইনি। জয় বাংলা স্লোগান আমাদের দুশমন, এটা আমাদের খান্দানের দুশমন। বক্তব্যের শেষের দিকে আমার পাশ থেকে অন্য কেউ জয় বাংলা বলেছিল।

হাতিয়ার পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন বলেন, আমাদের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেয়ার সময় তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। আবুল বাশার ভাই আমাদের একজন সিনিয়র নেতা। তিনি বক্তব্য দেয়ার সময় সংক্ষিপ্ত করতে বলায় তিনি জয় হোক বাংলাদেশ, চিরজীবী হোক এ কথা বলতে গিয়ে ভুলবশত জয় বাংলা বলে ফেলছেন। তবে তিনি তো ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলেননি। মানুষ মাত্রই ভুল। এটি তিনি ইচ্ছাকৃত করেননি বলেও জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দমন-নিপীড়ন চালিয়েছিল। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার কিছু দোসর কিছু লোকের ছত্রছায়ায় তাদের দল পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। আবুল বাসার ফুল মিয়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছিলেন। বিএনপির সমাবেশে তার এমন বক্তব্য মেনে নেয়া যায় না।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপির কোনো নেতাকর্মী নিষিদ্ধ স্লোগান দিতে পারবে না। সংগঠন বহির্ভূত কোনো কর্মকাণ্ডে কেউ জড়ালে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

AHA
আরও পড়ুন