নোয়াখালী সদরে অটোরিকশা চালককে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে শেষ রক্ষা হলো না এক আসামির। অবশেষে আসামি মনিরুল ইসলাম মামুন (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে জেলা শহর মাইজদীতে পেট্রোল পাম্পের পাশ থেকে অভিযুক্ত মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মনিরুল ইসলাম মামুন সদর উপজেলার মধ্যম করিমপুরের বাসিন্দা। নিহত অটোরিকশার চালক মো. বাবর হোসেন (১৮) একই এলাকার মো. সেলিমের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী ইউনিয়নের ডাক্তার বাজার স্লুইস গেট খাল সংলগ্ন একটি কবরস্থানের পাশ থেকে অটোরিকশা চালক বাবর হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বাবরের স্বজন ও এলাকাবাসী রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এটি ছিল ক্লুলেস ঘটনা। সন্দেহ এড়াতে মানববন্ধনে হত্যাকারী নিজেও ছিল। কিন্তু আমরা কৌশলে তাকে গ্রেপ্তার করলে সে সব কিছু স্বীকার করে নেয়।
মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, মনিরুল ইসলাম মামুন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। মূলত আসামি মামুন তার পরিচিত কয়েকজন লোক থেকে নেওয়া ৪৫ হাজার টাকা ধার করেন। এর পরিবর্তে পাওনাদাররা তার কাছে ৯০ হাজার টাকা দাবি করে। মামুন তার পরিচিত বাবরকে হত্যা করে তার অটোরিকশাটি বিক্রি করে টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী অটোরিকাশা করে বাবরকে দত্তেরহাট এনে জুসের সাথে কৌশলে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামে নির্জন বাগানে নিয়ে যান। সেখানে গায়ের গেঞ্জি দিয়ে গলা ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা বরে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায় মামুন।
হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বাবরের স্বজন ও এলাকাবাসী রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সন্দেহ এড়াতে মানববন্ধনে হত্যাকারী নিজেও ছিল। কেবল টাকার নেশায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।