ঢাকা
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩০

আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৪ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় সোহরাব মিয়া (২৮) নামে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে চাতলপাড় বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত সোহরাব মিয়া চাতলপাড় ইউনিয়নের মোল্লা গোষ্ঠীর সমর্থক। তিনি ওই ইউনিয়নের চান মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, চাতলপাড় ইউনিয়নের উল্টা গোষ্ঠী ও মোল্লা গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের একটি প্রথা আছে, কে বেশি ক্ষমতাধর, কে কত বেশি টাকার মালিক ও কে কত বেশি মারামারি করতে পারে। এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা লেগে থাকে। এসব ঘটনায় তাদের মধ্যে এলাকায় একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয়ভাবে বিচার শালিসের মাধ্যমে কিছু বিরোধ নিষ্পত্তিও হয়েছে।

সবশেষ শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। দুপুর দুইটার দিকে দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাখানের ধরে চলা সংঘর্ষে মোল্লা গোষ্ঠীর একন নিহত হন এবং উভয় পক্ষের অন্তন্ত ৩০ জন আহত হন। আহতদের অনেকেই নাসিরনগর না এসে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহতদের মধ্যে তিনজন মোল্লা গোষ্ঠীর। তারা হলেন- নেয়ামুল মিয়া, বাবুল মিয়া ও সুরাফ মিয়া। তাদের কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। 

চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ মারামারি শুরু হয়। একজন নিহত হয়েছে। লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বন্ধ রয়েছে পুরো বাজার। মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর চাতলপাড় বাজারের প্রায় ৫ শতাধিক দোকানঘর বন্ধ হয়ে গেছে।

উল্টা গোষ্ঠীর মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের লোকদের সবসময় তারা মারধর করতো। এর জেরে আজ এ ঘটনা ঘটে। বাজারে আমাদের ২০টি দোকান লুটপাট করে কয়েক কোটি টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।

মোল্লা গোষ্ঠীর পক্ষের মোতাহার হোসেন বলেন, আমাদের উপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে অতর্কিত হামলা করে আলাউদ্দিনের লোকজন। এর মধ্যে সোহরাবকে টেটা দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে। আরও দুজন মৃত্যু-পথযাত্রী।

নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। লুটপাটের বিষয়টি জানিনা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শানিহা নাসরিন বলেন, সংঘর্ষে একজেনর মৃত্যুর খবরের পর লুটপাটের ঘটনা শুনেছি। আমি সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কথা বলেছি।

MMS
আরও পড়ুন