চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা মাদ্রাসা-ই শাজুলিয়ার শিক্ষার্থী মো. সাব্বির হোসেন। ১৪ বছর বয়সে মাত্র ১৬২ দিনে পবিত্র আল কোরআন মুখস্ত করেন সাব্বির।
কোরআনে হাফেজ মো. সাব্বির হোসেন কচুয়া উপজেলার সেঙ্গুয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুর রহমান ও তাসলিমা বেগম দম্পতির কনিষ্ঠ পুত্র।
মাদ্রাসা পরিচালক মাওলানা আতাউল্যাহ শাজুলি জানান, সাব্বির মাদ্রাসায় ভর্তির পর থেকে পড়াশোনার প্রতি বেশ মনোযোগী ছিল। মাত্র ১৬২ দিনে আল্লাহর অশেষ রহমতে সে পুরো কোরআন মুখস্ত করেছে। নিয়মিত সবক, ৭ সবক ও আমুখতার ধাপ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করেছে। শৈশব থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী এই শিশু ২ বছরেরও কম সময়ে নূরানী, নাজেরা ও হিফজ শেষ করেছে। প্রতিদিন গড়ে ৪-৫ পৃষ্ঠা মুখস্থ শুনিয়ে শিক্ষক ও সহপাঠিদের বিস্মিত করত সে।
হিফজের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায়ও সাব্বিরের সাফল্য নজরকাড়া। হুফফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১০ পারা গ্রুপে উপজেলা পর্যায়ে চতুর্থ স্থান এবং টেলিভিশনে একাধিক জাতীয় প্রতিযোগিতায় ‘ইয়েস কার্ড’ অর্জন করেছে। তার এই অর্জনে পরিবার, স্থানীয় বাসিন্দা ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা আনন্দিত।
তিনি আরও জানান, মাদ্রাসার পক্ষ থেকে মেধাবী এ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। হাফেজ শিশু মো. সাব্বির হোসেন বড় হয়ে একজন বিশ্বজয়ী আলেম হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, কচুয়ার শাজুলিয়া দরবার শরীফ কর্তৃক পরিচালিত এই মাদ্রাসার চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ঢাকায় মোট ৫টি শাখা রয়েছে। এখানে নূরানী, নাজেরা, হিফজ ও প্লে-অষ্টম শ্রেণীতে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। প্রতি বছর গড়ে ১০-১২ জন শিক্ষার্থী পূর্ণ কোরআন হিফজ সমাপন করে পাগড়ি গ্রহণ করে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে।
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ধর্ম পালনের বিকল্প নেই