ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড.আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, উপমহাদেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. শরীয়ত উল্লাহ।
তিনি বলেন, হাজী শরীয়ত উল্লাহর সময় ব্রিটিশরা কৃষকদের ওপর জুলুম করত। ব্রিটিশরা কৃষকদের জোর করে নীল চাষ করাতো আর সেই নীল কম দামে কিনে নিত। সেই জুলুমের বিরুদ্ধে ফরায়েজী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন হাজী মোহাম্মদ শরীয়ত উল্লাহ। তিনি এই বাংলার ও উপমহাদেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার হাজী শরিয়ত উল্লাহর আস্তানা বাহাদুরপুর মাদরাসার ৮০তম ফরায়েজী আন্দোলনে ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকের যে বাংলাদেশ, হাজার হাজার মানুষের মাথায় টুপি, মুখে দাড়ি, নামাজের প্রতি আগ্রহী, রোজার প্রতি আগ্রহী এগুলো হাজী শরীয়ত উল্লাহ সাহেবের অবদান, পীর সাহেবের অবদান। এসব ইতিহাস মানুষ ভুলে গেছে। তাই এই ইতিহাসকে পুনজ্জীবিত করতে হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ফরায়েজি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাবে। অন্যান্য দল যদি পায়, ছোট ছোট-অজ্ঞাত দল যদি পায় তাহলে ফরায়েজি আন্দোলন পাবে না কেন? আসুন আমরা ভেদাভেদ ভুলে সমস্ত মুসলমানকে অন্তরের মধ্যে জায়গা দেই। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকেন। ঐক্যই শক্তি, শক্তিই শান্তি।
হাজী শরীয়ত উল্লাহর অবদান বর্ণনা করে খালিদ হোসেন বলেন, ফরায়েজি আন্দোলন সম্পর্কে তোমার অভিমত ব্যক্ত করো, এরকম অনার্স মাস্টার্সে প্রশ্ন আসতো। নানা কারণে সাবজেক্টগুলো এখন আর সিলেবাসে নেই। আশা করি আগামীতে নতুন সিলেবাসে ফরায়েজী আন্দোলন, হাজী শরীয়ত উল্লাহ, ছাহেব রহমাতুল্লাহ আলাহীর জীবনী ও ওনাদের কালজয়ী অবদান সিলেবাসভুক্ত হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- হাজী শরীয়ত উল্লাহর আস্তানার গদিনসীন পীর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, দেশবরেণ্য ওলামায় একরামগণ, শিবচর থানার ওসি মো. রতন শেখ ও ফরায়েজি আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
