খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা ও শ্রমিক সংগঠনের বিভাগীয় সংগঠক মো. মোতালেব শিকদারের ওপর হামলার ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা ভারত সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হামলাকারীরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য বিজিবি-৬ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে ১১৩ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা কার্যত সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর থেকেই চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ মেইন পিলার ৭৫/৩-এস হতে ১৩১/৮-আর পর্যন্ত বিস্তৃত সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি ও নজরদারি শুরু হয়েছে। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, দর্শনা আইসিপি, সুলতানপুর, বারাদী, ফুলবাড়ী, ঠাকুরপুর, মুন্সীপুর এবং মুজিবনগরসহ সীমান্তবর্তী ২০টি বিওপি এলাকায় অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশেষ করে যেসব এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি টহল জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকেই সীমান্ত সংলগ্ন সড়কগুলোতে বিভিন্ন যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের শরীর তল্লাশি করছে বিজিবি সদস্যরা।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান জানান, ‘খুলনায় মোতালেব শিকদারের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিরা যেন কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সেজন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সোমবার দুপুরে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় দুর্বৃত্তরা মোতালেব শিকদারের মাথা লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য এবং মাথার সিটি স্ক্যান করার লক্ষ্যে তাকে শেখপাড়া সিটি ইমেজিং সেন্টারে নেওয়া হয়েছে।
খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলি: হামলাকারীদের ধরতে সীমান্তে কড়া নজরদারি