নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারে তলিয়েছে সুন্দরবন 

আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়েছে পুরো সুন্দরবন। সুন্দরবনের কোথাও সাড়ে তিন ফুট আবার কোথাও আড়াই ফুট উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে। তবে এতে বনের ও বন্যপ্রাণীর তেমন ক্ষতির আশংকা নেই বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। 

খুলনা জেলার অন্তর্গত পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজাদ কবির জানান, শনিবারের (২৬ জুলাই) দিনের (দুপুরের) জোয়ারে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি বেড়েছে আড়াই ফুট থেকে সাড়ে তিন ফুট। আড়াই ফুট উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে করমজল, জোংড়া, মরাপশুর, হাড়বাড়ীয়, ঘাগরামারী ও লাউডোব এলাকা। এছাড়া সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার জ্বলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে হিরণপয়েন্ট, কটকা ও কচিখালী বনাঞ্চল। পুরো বনের ভেতরেই জায়গা বিশেষ আড়াই থেকে সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার পানিতে তলিয়ে গেছে। 

তবে এতে বনের ও বন্যপ্রাণীর ক্ষতির তেমন কোন আশংকা নেই। কারণ পুরো বনজুড়ে ৪০টি টাইগার টিলা (উচু টিলা) রয়েছে। বনের ভেতরে পানি বাড়লে বাঘ, হরিণ ও শুকরসহ অন্যান্য প্রাণী উচু টিলায় আশ্রয় নিয়ে থাকে। আর ২ আড়াই ঘন্টা পর ভাটায় আবার এ পানি নেমে যায়। ফলে বন্যপ্রাণীর ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নেই। এছাড়া ক্ষতি হবে না বনের অভ্যন্তরে থাকা ৮৮টি মিষ্টি পানির পুকুরেরও। কারণ পুকুরগুলোর পাড় অনেক উচু, তাই লবণ পানি ঢুকে মিষ্টি পানির আধারগুলোর ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নেই। 

তিনি আরো বলেন, মুলত অমাবস্যা ও পূর্ণিমার নদ-নদীতে পানি বেড়ে থাকে। কিন্তু চলতি অমাবস্যার সাথে যোগ হয়েছে নিম্নচাপের প্রভাব। এতে পানি বেড়েছে। গরমকালে দিনের জোয়ারে পানি বেশি হয়, রাতের জোয়ারে কম হয়। আবার শীতকাল এর বিপরীত। 

এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে তলিয়েছে মোংলার পশুর নদীর পাড়ের ফসলি জমি, ঘরবাড়ী ও রাস্তাঘাট। তবে ভাটায় পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষতি ও জলাবদ্ধতার ঝুঁকি কম রয়েছে এ এলাকায়।

NJ