ঢাকা
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ২ বছর ধরে অব্যবহৃত সেতু

আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৫, ১২:০৩ পিএম

সেতু আছে কিন্তু রাস্তা নেই, জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দুই বছর ধরে অব্যবহৃত রয়েছে মেহেরপুর জেলার বেতবাড়িয়া ও কুষ্টিয়ার মধুগাড়ি গ্রামের মানুষের জন্য মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত সেতু।

২০২০ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সালে নির্মাণ শেষ হয়। দুই বছর অতিবাহিত হলেও তৈরি হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক। সেতুর এপারে জমি অধিগ্রহণ হয়নি। ফলে ফসলি জমির মাঝখানে ‘অবিচ্ছিন্ন’ সেতুটি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয়দের জন্য।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফসলী জমির মাঝখানে ঠাঁই দাঁড়িয়েছে একটি সেতু। অতি কষ্টে সেই সেতু পার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। আনা নেওয়া করা যাচ্ছে না কোনো ফসল। মাঝে মধ্যেই অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। মালামাল কিংবা ক্ষেতের ফসল নিয়ে যেতে নয় কিলোমিটারেও বেশি পথ ঘুরতে হচ্ছে দুই গ্রামের মানুষকে। অথচ কুষ্টিয়া জেলার মধুগাড়ি ও মেহেরপুর জেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের মানুষের যাতায়াত ও কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সহজেই ঘরে তুলতে মাথাভাঙ্গা নদীর উপর নির্মাণ করা হয় সেতুটি। সেতুর ওপারে মধুগাড়ি গ্রামের নির্মিত হয়েছে সংযোগ সড়ক। জমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে এপারে বেতবাড়িয়া গ্রামে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি এখনও। 

এদিকে সংযোগ সেতু নির্মাণ না হওয়ার পিছনে গ্রামবাসী দোষ দিচ্ছেন এলজিইডি কতৃপক্ষের অবহেলা আর মালিকদের জমি না দেওয়াকে। 

তবে জমির মালিকরা বলছেন, জমি দেওয়ার জন্য এক বছর ধরে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকের কাছে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সমাধান মেলেনি। 

মেহেরপুর এলজিইডি (গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী) ফয়সাল আহাম্মেদের নিকট কাজ শুরুর আগে কেন জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি এমন প্রশ্নের সদুত্তোর মেলেনি। তবে তিনি বলছেন, ‘জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান দ্রুত জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে নির্মাণ করা হবে সংযোগ সড়ক।’  

HN
আরও পড়ুন