ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ইউএনওর কোরবানির গরু আনা হলো এসিল্যান্ডের গাড়িতে

আপডেট : ০৬ জুন ২০২৫, ০১:০৫ এএম

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভার কোরবানির গরু রাজশাহীর একটি হাট থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির (এসিল্যান্ড) সরকারি গাড়িতে করে আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহীর নওদাপাড়া এলাকার সিটি হাট থেকে গরুটি কেনা হয়। সরকারি গাড়িতে গরু আনার পর বিষয়টি জানাজানি হলে জেলার সচেতন মহলে সমালোচনা শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে আম কেনাবেচার সময় আড়তদারদের বাড়তি ওজন নেওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একটি সভা ছিল। এ সভায় এসেছিলেন বাগাতিপাড়ার ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। তিনি ওই উপজেলার সহকারী কমিশনারেরও (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তাই উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) ডাবল কেবিন পিকআপ নিয়েই তিনি সভায় যান। সভা শেষ হয় দুপুরে। এরপর রাজশাহীর সিটি হাটে গিয়ে তিনি কোরবানির জন্য একটি গরু কেনেন। পরে সেই গরু গাড়ির পেছনের কেবিনে তোলা হয়। আর সামনের কেবিনে বসেন ইউএনও। এসিল্যান্ডের সরকারি গাড়িতে গরু তুলতে দেখে সেখানে ভিড় জমান উৎসুক মানুষজন।

জানতে চাইলে সরকারি গাড়িতে গরু নিয়ে আসার কথা জানিয়ে গাড়ি চালক সুমন আলী বলেন, বিভাগীয় কমিশনার অফিসে মিটিং ছিল স্যারের (ইউএনওর)। মিটিং শেষে হাট থেকে গরু কিনে গাড়িতে তুলে নিয়ে এসেছি। এসময় ইউএনও স্যার গাড়িতেই ছিলেন। এ বিষয়ে কোনো কথা থাকলে স্যার বলবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, ঈদে এ বছর ছুটি পাইনি, তাই এখানেই এবার ঈদ করতে হবে। আমাদের বাগাতিপাড়ায় কোনো হাট নেই, তাই রাজশাহী থেকেই গরু কিনতে হয়েছে। আজ রাজশাহীতে মিটিং ছিল। যেহেতু এসিল্যান্ডের চার্জে রয়েছি, তাই ওই গাড়িটি নিয়ে গেছি। যে গরুটি কেনা হয়েছে আমি শুধু সেটি গাড়ির পেছনে তুলে নিয়ে এসেছি।

সরকারি গাড়িতে গরু ওঠানো ঠিক হয়েছে কি না– জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা যে অনিয়ম হয়েছে, সেটা কোথাও নেই। গাড়িতে কি তোলা যাবে কি তোলা যাবে না সেটার কোনো পরিপত্র দেখাতে পারবেন? আমি গরুকে সিটে বসাইনি। আমি নিজে গাড়িতে ছিলাম। আর পেছনে জায়গা ছিল, গরুটি গাড়ি নোংরা করেনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ডিসিসহ বিষয়টি সবাই জানেন, আমাদের নজরেও এসেছে। এটা ঠিক হয়নি।

MMS
আরও পড়ুন